Panchayat Campaign Left

দরজায় দরজায় প্রচারে বামফ্রন্ট

জেলা

বারাকপুরের গ্রামাঞ্চলে বামফ্রন্টের প্রচার। ছবি: অভিজিৎ বসু

হুমকি যেমন আছে তেমন হুমকি রুখে প্রচারও রয়েছে বামফ্রন্টের। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কখনও মিছিল কখনও বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার চোখে পড়েছে বৃহস্পতিবার। বারাকপুরের গ্রামাঞ্চলে পঞ্চায়েত এলাকাতেও এমন ছবি। 

মালদহেও প্রচারের এমনই ছবি দেখা গিয়েছে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে কথা বলছেন প্রার্থীরা। বলছেন দুর্নীতি ঠেকানো গেলে বহু কাজ করতে পারে পঞ্চায়েত। দিতে পারে কাজ। শিশুদের স্কুলে মিড ডে মিল বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণ গুছিয়ে করা সম্ভব। স্বচ্ছতা এখন জীবিকার সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে গিয়েছে।  

২৭ নম্বর মোহনপুর পঞ্চায়েত অঞ্চলে চককাঠালিয়া শরৎ পল্লীতে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত সমিতির তিনি প্রার্থীই প্রচার চালিয়েছেন। জেলা পরিষদের প্রার্থী কল্যাণী কবিরাজ, গ্রাম পঞ্চায়েতে  মুস্তারী বেগম ও পঞ্চায়েত সমিতিতে সমাপ্তি বাইনকে নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করা হয়। 

প্রচারে অংশ নেন বারাকপুর গ্রামীণ এরিয়া কমিটির সম্পাদক মুস্তাক আলি। প্রচারে অংশ নেন শিক্ষকরা।

মানিকচক ব্লকের জেলা পরিষদের  ২৮ নং আসনে প্রচারে নামলেন কংগ্রেস সমর্থিত বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই(এম) প্রার্থী দেবজ্যোতি সিনহা।

মানিকচকে প্রচারে দেবজ্যোতি সিনহা। ছবি: উৎপল মজুমদার

বামফ্রন্টের ইশ্‌তেহারেই স্পষ্ট ঘোষণা হয়েছে, অন্তত আশি ভাগ মানুষকে আলোচনায় জড়িয়ে নেওয়া হবে উন্নয়নের সিদ্ধান্ত। জনকল্যাণের যে যে প্রকল্প সরকারি স্তরে রয়েছে, সেগুলির সবচেয়ে বেশি সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব। সেই ব্যাখ্যা দরজায় দরজায় তুলে ধরছেন তাঁরা। 

দেবজ্যোতি সিনহা বলেছেন, ‘‘পঞ্চায়েত মানে কয়েকজন সদস্যের বিষয় নয়। সব মানুষের বিষয়। ফলে গ্রাম সভা, পাড়া বৈঠক করে সব মানুষকে জড়িয়ে নিয়ে উন্নয়নের কাজ করতে চাই। ২০১৮’তে কিছু মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছিলেন এটা ঠিক। কিন্তু বিজেপি এবং তৃণমূল, দুই শক্তিকে হটানোর প্রচারে ব্যাপক সাড়া মিলছে। কম সময়ের মধ্যে যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছানো আমরা।’’ 

Comments :0

Login to leave a comment