রণদীপ মিত্র
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এই শাখায় রয়েছে তৃণমূলের দলীয় অ্যাকাউন্ট। এখানেই লকারে রয়েছে গয়নার বিপুল সম্ভার। বোলপুরের এই শাখায় বুধবার এসেছে ইডি। প্রায় ছয় ঘন্টা ধরে চলেছে তল্লাশি, নথিপত্র পরীক্ষা করার কাজ।
তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে গোরু পাচার ও জনগণের সম্পত্তি নয়ছয় মামলার তদন্তে এই তল্লাশি বলে মনে করা হচ্ছে। দিন কয়েক পরেই দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালত এবং সুপ্রিম কোর্টে অনুব্রত মামলার শুনানি রয়েছে।
এদিন সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের বোলপুর-শান্তিনিকেতন শাখায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা বাহিনী। সঙ্গে রাখা হয়েছিল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বোলপুরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শিবনাথ রায়কে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে প্রায় ৬ ঘন্টা ব্যাঙ্কে নথি সংগ্রহ করে ইডি। বেরনোর সময় ইডির হাতে একটি সুটকেস ও একটি ব্যাগ দেখা যায়। যদিও তদন্তকারীরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তদন্তকারীরা বেরিয়ে যেতেই ব্যাঙ্কের শাখাও তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সূত্র মারফত জানা গেছে, ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের বোলপুর-শান্তিনিকেতন শাখায় তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পাশাপাশি নিজের হাতে গড়া দলের দপ্তরে প্রতি বছর বিপুল জাঁকজমক করে পুজো করতেন অনুব্রত মন্ডল। সেই বিগ্রহ যে বিপুল সোনার গয়না দিয়ে সাজানো হত, তাও গচ্ছিত রয়েছে এই ব্যাঙ্কেই। যার পরিমান কম করে ৫৬০ ভরি। গয়না ও তৃণমূলের দলীয় অ্যাকাউন্টের লেনদেন গোড়া থেকেই নজরে ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের।
দিন কয়েক আগেই গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ‘ফিনান্স’ লেখা কেন্দ্রীয় সরকারের গাড়িতে করে তিন আধিকারিককে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের নিচুপট্টীর কার্যালয়ের বাইরে নজরদারি চালাতে। তৃণমূলের এই দপ্তর নিয়ে অভিযোগ বহু দিনের। বছর পাঁচেক আগে কম করে তিন কোটি টাকা খরচে তৈরি তৃণমূলের এই দপ্তরের উদ্বোধন হয়।
Comments :0