MADHYAMIK QUESTION LEAK

ফাঁস ইংরেজির প্রশ্নপত্রও, মানিকচকের স্কুলে আটক ৭ পরীক্ষার্থী

রাজ্য জেলা

বাংলার পর ইংরেজি। আবারও প্রশ্নপত্র ফাঁস। আবারও খবরের শিরোনামে মালদা। 

শনিবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হলো মানিকচকের এনায়েতপুর হাই স্কুল থেকে। মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র এনায়েতপুর হাই স্কুলের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোট সাতটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং দু’টি কিপ্যাড ফোন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় তিন ছাত্র ও চার ছাত্রীকে আটক করল মানিকচক থানার পুলিশ। এই ৭ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকেই সাতটি মোবাইল উদ্ধার করে ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং কমিটি। 

একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এই সাত জন ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আটক হওয়া সাতজন ছাত্রছাত্রী মানিকচকের গোপালপুর হাইস্কুলের বলে জানা গেছে। তাদের সকলের বাড়ি গোপালপুর অঞ্চলের বালুটোলায়। 

আর এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য মালদা জেলা জুড়ে। তবে এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সম্পূর্ণ পরীক্ষা ব্যবস্থা পদ্ধতি নিয়ে। কিভাবে এই সাত জন ছাত্রছাত্রী পর্যবেক্ষকদের নজর এড়িয়ে মোবাইলসহ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করল তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। পরীক্ষা পদ্ধতির নজরদারিতে ঢিলেমির অভিযোগ তীব্র। 

মানিকচক ব্লকে মোট সাতটি কেন্দ্রে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে।  গোপালপুর হাই স্কুল ও মথুরাপুর তিলক সুন্দরী গার্লস স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্র এবার এনায়েতপুর হাই স্কুল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রায় দেড় ঘন্টা পর হঠাৎই এই পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হয় মাধ্যমিক পরীক্ষার ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং টিম। তারাই তল্লাশি চালিয়ে তিনজন ছাত্রী ও চারজন ছাত্রের কাছ থেকে মোট সাতটি মোবাইল উদ্ধার করে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশে এই সাতজন ছাত্রছাত্রীকে আটক করে মানিকচক থানা পুলিশ। উদ্ধার হওয়া সাতটি মোবাইলেও নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। 

জানা গেছে, আটক ৭ পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড ও উত্তরপত্র বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাদের মোবাইল ঘেঁটে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে যে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। ‘এমপি ২০২৪ কোশ্চেন আউট’ নামে এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রশ্নপত্র আপলোড করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই গ্রুপে মোট ১৫১ জন মেম্বার রয়েছে। তবে এই গ্রুপের অ্যাডমিন কে বা কারা তা এখনো জানা যায়নি। পুলিশের দাবি এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পর্দা ফাঁস হবে।

রাজ্যে প্রতি বছরই নিয়ম করে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে চলেছে। কেবল কিছু ছাত্রছাত্রীর কাজ কিনা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। শিক্ষাকে ঘিরে দুর্নীতিচক্র থাকার অভিযোগ রয়েছে সর্বত্র। 

Comments :0

Login to leave a comment