ARGENTINA STRIKE

দক্ষিণপন্থাকে চ্যালেঞ্জ শ্রমিকদের, ব্যাপক ধর্মঘট আর্জেন্টিনায়

আন্তর্জাতিক

দক্ষিণপন্থী সরকারের নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানালো আর্জেন্টিনার শ্রমিকশ্রেণি। বারো ঘন্টার ধর্মঘটে প্রায় অচল থাকল দেশ। গণপরিবহণ থেকে ব্যাঙ্ক, ধর্মঘটে শামিল হয়েছে সব অংশ। বিপুল অংশের জনতার সমর্থন পেয়েছে ধর্মঘট। 
কয়েকমাস আগে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন অতি দক্ষিণপন্থী অর্থনীতিবিদ জেভিয়ার মিলেই। আর্জেন্টিনার অর্থনীতির হাল বদলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সব চেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি ছিল মূল্যবৃদ্ধির হার কমানো। 
মূল্যবৃদ্ধির হার ২০০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে আর্জেন্টিনায়। পদে আসীন হয়ে মিলেই জোর দেন সরকারি বরাদ্দ সংকোচন এবং স্বীকৃত আইনি অধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযানে। তার বিরুদ্ধেই ধর্মঘটের ডাক দেয় শ্রমিক সংগঠনগুলিকে নিয়ে তৈরি দেশের সবচেয়ে বড় মঞ্চ ‘জেনারেল কনফেডারেশন অব লেবার’।  


কনফেডারেশন প্রচারে সবচেয়ে জোর দিয়েছে মিলেইর ডিক্রি এবং বিভিন্ন আইন নাকচ করার জন্য তৈরি বিলে। এই বিল বা প্রস্তাবিত আইন এখন জাতীয় আইনসভায় রয়েছে। মিলেইর অর্থনীতিকে দেশ বেচার অর্থনীতি বলছেন শ্রমিকরা। অনেকে বিক্ষোভ মিছিল থেকেই সংবাদমাধ্যমে বলেছেন দেশের এমন হাল পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ছেড়ে রাখা যায় না। দেশের সেরা সম্পদ বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। দেশের এই হাল বদলাতেই হবে। 
কনফেডারেশনের সদস্য ট্রাকচালদের সংগঠনের নেতা পাবলো মোয়ানো বলেছেন, ‘‘দেশের অর্থনীতি বদলানোর নামে প্রথমেই আঘাত নামাো হয়েছে শ্রমজীবী শ্রেণিগুলির ওপর। তাদের আইনি অধিকার বাতিল করা হচ্ছে। মিলেইর শ্রম আইনে সংস্কারের উদ্দেশ্যই হলো শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নেওয়া।’’ 
ওয়াশিংটন এবং পশ্চিমী দেশগুলি সরাসরি দক্ষিণপন্থী মিলেইর পক্ষে। সমর্থন মিলছে অকাতরে। তিনি জানিয়েছেন সংস্কারের পথে থেকে কোনোভাবে সরে আসা হবে না। প্রতিবাদী আন্দোলন জানিয়েছে, রাস্তা থেকেও সরে যাওয়া যাবে না। 
ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। বহু বিমান বাতিল করতে হয়েছে। মিলেইর ডিক্রির কিছু অংশের প্রয়োগ আটকে গিয়েছে আদালতেও। তবে রাস্তার ওপরই ভরসা রাখার কথা জানিয়েছে কনফেডারেশন।

Comments :0

Login to leave a comment