CSDS Survey

‘‘ভারত সব ধর্মের দেশ’’: লোকনীতি-সিএসডিএস সমীক্ষা

জাতীয় লোকসভা ২০২৪

সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ ডেভেলপিং সোসাইটিজ (সিএসডিএস) এবং লোকনীতির প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষা ২০২৪-এ উঠে এসেছে ৭৯ শতাংশ  মানুষ বলেছেন যে তারা বিশ্বাস করেন যে ‘‘ভারত কেবল হিন্দুদের নয়, সমস্ত ধর্মেরই স্থান রয়েছে’’।
২৮ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিলের মধ্যে ১৯টি রাজ্যে ১০ হাজার ১৯ জন উত্তরদাতার ওপর চালানো এই সমীক্ষায় ধর্মীয় বহুত্ববাদের প্রতি সমর্থন পাওয়া গেছে। মাত্র ১১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে তারা বিশ্বাস করেন যে ‘‘ভারত কেবল হিন্দুদের’’, যেখানে প্রতি ১০ জন হিন্দুর মধ্যে প্রায় আটজন ধর্মীয় বহুত্ববাদের পক্ষে কথা বলেছেন।
গুজরাটের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সাম্প্রতিক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুজরাটের যেসব হিন্দু বৌদ্ধ, জৈন বা শিখ ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে চান, তাঁদের গুজরাট ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের অধীনে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে আগাম অনুমোদন নিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে বৌদ্ধধর্ম, জৈন ধর্ম এবং শিখ ধর্ম আইন অনুসারে হিন্দু ধর্ম থেকে পৃথক এবং দাবি করা হয়েছে যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা আইন মেনে বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার আবেদনগুলিতে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
লোকনীতি-সিএসডিএস সমীক্ষায় ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) প্রতি হ্রাস হতে দেখা গেছে। ২৮ শতাংশ বলেছেন যে তারা নির্বাচন কমিশনকে ‘‘অনেকাংশে’’ বিশ্বাস করছেন এবং ৩০ শতাংশ ‘‘অল্প পরিমাণে’’ বিশ্বাস করছেন, যা প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষা ২০১৯ থেকে যথাক্রমে ৫১ শতাংশ এবং ২৭ শতাংশের থেকে অনেকটাই কম।
৪৫ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি কারচুপি করতে পারে।
গতকাল, কনস্টিটিউশন কন্ডাক্ট গ্রুপের (সিসিজি) ৮৭ জন সদস্য নির্বাচন কমিশনকে একটি খোলা চিঠি লিখে বলেছেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা এবং আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার মাঝে বিরোধী দলের একজন প্রবীণ রাজনৈতিক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা আমাদের মনে আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে, যা  ইচ্ছাকৃত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিরোধী দলগুলিকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার থেকে বাধা দেওবা হচ্ছে এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হচ্ছে দেখেও কমিশন ‘‘নিরবতা’’ পালন করছে।

Comments :0

Login to leave a comment