YECHURU JBCSSR

ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক ভারতকে অটুট রাখার আহ্বান জ্যোতি বসু রিসার্চ সেন্টারে

রাজ্য

বুধবার নিউটাউনে জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সীতারাম ইয়েচুরি।

সৌরভ গোস্বামী

জননেতা জ্যোতি বসু যে ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার বিপরীতে চলছে দেশ। বুধবার নিউটাউনে জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন সিপিআ(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।

এদিন নিউটাউনে জননেতা জ্যোতি বসুর ১৫তম প্রয়াণ দিবসে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হল জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ কেন্দ্রের। এদিনের অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বৃক্ষরোপনের মধ্যে দিয়ে। এরপরে সভার সূচনা করেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। প্রথমে তিনি কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠ করেন। তিনি জানান, কেরালায় প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি বিজয়ন। বিজয়ন তাঁর বার্তায় জ্যোতি বসুর রাজনৈতিক জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমান সময়ে দিক নির্ধারণ করার বার্তা দেন। 

এরপরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের শুভেচ্ছা পাঠ করেন শোনান সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। নীতীশ তাঁর বার্তায় এই অনুষ্ঠানে না আসতে পারার কারণ হিসেবে গুরু গোবিন্দ সিংয়ের জন্মদিন ঘিরে অনুষ্ঠানের কথা বলেন। তার বার্তায় তিনি জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েতিরাজ এবং পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়নের কথা উল্লেখ করেন। ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও।

নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্থনীতিবিদ অমিয় বাগচী এবং সাংবাদিক পি সাইনাথের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠ করেন সিপিআই(এম) রাজ্য কমিটির সদস্য দেবাশিস চক্রবর্তী। 

‘ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র রক্ষার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক মূল আলোচনা শুরু করেন সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেন, জ্যোতি বসু যে ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন তার বিপরীতে চলছে ভারত। ২২ জানুয়ারিও স্বাধীন ভারতের ইতিহাসের চাকা ভিন্ন দিকে ঘোরাবার চেষ্টা চালাবে সংঘ পরিবার। তিনি বলেন, রাম মন্দিরকে রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিরোধিতা করলেই ইউএপিএ, ইডি, সিবিআই লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। 

এরপরে সেলিম বলেন, বর্তমানে শিক্ষা, ইতিহাস চেতনার ওপর যে আক্রমণ নামানো হচ্ছে তার বিপরীতে গবেষণার কাজ চালাবার জন্য এই কেন্দ্র। তিনি আরও জানান, এই কেন্দ্র কাজ করবে আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। তিনি বলেন কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়েই এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থার পক্ষে। বিকেন্দ্রীকরণের বিরুদ্ধে। বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যেই এ রাজ্য পরিচালিত হয়েছিল জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে। 

ভারতের গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ সাধারণতন্ত্রের চরিত্র অটুট রাখার লড়াইকে জোরালো করার আহ্বান করেন বক্তারা। 

Comments :0

Login to leave a comment