Birbhum Incident

বীরভূমে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে নিহত দুই শ্রমিক

রাজ্য

Birbhum Incident

উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলার কশিকালান ফালিন গ্ৰামের বিষ্ণু তানওয়ার ২২, বিকাশ তানওয়ার ২৪ নামে দুই ভাই ধান কাটার মেশিন নিয়ে বীরভূমে এসেছিলেন ধান কাটার কাজে। রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার নাগাদ ধান কাটার গাড়ি নিয়ে যশপুর গ্ৰাম পঞ্চায়তের সালুঙ্চী গ্ৰাম থেকে ধান কাটার পর সদাইপুর থানার রেঙ্গুনী গ্ৰামে যাওয়ার পথে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ এর তার গাড়ির সাথে লেগে দুর্ঘটনা ঘটে। 


ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় দুই ভাইয়ের। ঘটনাস্থলে সদাইপুর থানার পুলিশ এলে খিপ্ত জনতা পুলিশকে এলাকা ছাড়া করে। এলাকাবাসীর দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকেরা আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত দেহ ছাড়া যাবে না।


গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বহুদিন ধরে ওই জায়গায় ঝুলে রয়েছে হাইভোল্টেজ তার। একাধিকবার বিদ্যুৎ দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করলেও লাভ হয়নি। ঝুলে থাকা তারে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে দু’‌জনের মৃত্যু হলো। 
তাদের অভিযোগ এই মৃত্যুর জন্য পুলিশ ও বিদ্যুৎ দপ্তরই দায়ী। এদিন পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে পুলিশকর্মীরা ছুটে গ্রামের বাইরে পালিয়ে যান। উত্তেজিত গ্রামবাসীদের ক্ষোভ দেখাতে থাকেন, বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকেরা না আসা পর্যন্ত দেহ তুলতে দেওয়া হবে না বলে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

গ্রামবাসী রাজিবুল হক জানিয়েছেন, ‘‘অনেক বার বিদ্যুৎ দপ্তরে অভিযোগ জানানো হয়েছে রাস্তার উপর থাকা তার ঠিক করার জন্য। আমাদের গাড়িতেও তার জড়িয়েছে আগে। বিদ্যুৎ দপ্তর ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজ প্রাণ দিতে হল দুই শ্রমিককে’’।' যদিও বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজার কৃষ্ণকুমার মিশ্রের দাবি, ‘‘অভিযোগ মিথ্যা। তার ১৫ ফুটের উপরেরি ছিল। ঝুলে থাকার প্রশ্নই নেই। বরং ওই এলাকায় বিদ্যুৎ চুরির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। হয়ত তার থেকে নজর ঘোরাতে এই অভিযোগ আনা হচ্ছে স্থানীয়ভাবে’’। 

এদিকে ভীনরাজ্যের দুই তরতাজা যুবকের এহেন মৃত্যুতে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন তাদের অপর এক ভাই। সেও এসেছেন এরাজ্যে পেটের তাগিদে কাজ করতে। সে এদিন ছিল না মৃতদের সাথে অন্য জায়গায় কাজ করছিল। সেই ভাই মনীশ তনওয়ার জানিয়েছেন, ‘‘কি করে বাড়ির লোকজনদের সামনে দাঁড়াব ভেবে পাচ্ছি না। বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে’’। দেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়ে সিউড়ি সদর হাসপাতালে।

 

Comments :0

Login to leave a comment