GAZA ATTACK

২ ঘন্টার বিমানহানায় ৫০ মৃত্যু গাজায়

আন্তর্জাতিক

বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে ইজরায়েলের হানাদারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ।

দু’ঘন্টার বিমানহানায় নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে গাজায়। সংঘাতের ষষ্ঠ দিনের সকালেই হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলের বাহিনী আইডিএফ। প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে বৃহস্পতিবার সকালের হামলায় আহত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে ২৮১ জনকে। আরও বহু ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন। 

শনিবার থেকে ইজরায়েলের লাগাতার বিমানহানায় গাজা শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় মৃতের মোট সংখ্যা ১২০০’র কিছু বেশি। প্যালেস্তাইনের ভূখণ্ডে ঢুকে ইজরায়েলের লাগাতার দখলদারি এবং হত্যার পালটা আঘাত চালায় গাজার ‘হামাস’ বাহিনী। বুধবারও হামাসের রকেট আছড়ে পড়েছে ইজরায়েলের আশকালোন এলাকায়। তবে মার্কিন সামরিক মদতপুষ্ট ইজরায়েলের হানাদারির তুলনায় তার প্রভাব অনেক কম। 

প্যালেস্তাইনে সহকারী স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউসুফ আবু আলরিশ জানিয়েছেন যে এদিন সকালে ইজরায়েলের বাহিনী গাজার জেতৌন এলাকায় সাধারণ বাগরিকদের আবাসে হামলা চালিয়েছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়েছেন, ‘হামাস’ মানেই মৃত। কাউকে জীবিত ছাড়া হবে না। মুখে ‘হামাস’ বললেও ইজরায়েল এখন প্রকাশ্যে গাজায় প্রতিটি নাগরিককে হত্যার লক্ষ্যে হামলা চালাচ্ছে। আলরিশ বলেছেন এত বড় মাপের মানবিক বিপর্যয় অকল্পনীয়। গাজায় জল, বিদ্যুৎ, খাদ্য বন্ধ করা হয়েছে আগেই। হাসপাতালেও নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। বোমায় গুঁড়িয়ে যাচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্স। 

ইজরায়েলে নেতানিয়াহু জরুরি মন্ত্রীসভা গঠন করেছেন বিরোধী একাংশকে নিয়ে। জর্ডান জানিয়েছে যে গাজায় প্রাথমিক সুশ্রূষার জন্য পাঠানো হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকদের। মিশর প্যালেস্তাইন সীমান্তে রাফাহ এলাকায় জর্ডনের সামরিক বিমান পৌঁছাবে। তবে মিশরের থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি সাপেক্ষে এই সহায়তা দেওয়া যাবে। 

প্যালেস্তাইনে কেবল গাজা নয়, অন্য এলাকাতেও অবৈধ বসতি বসিয়ে দখলদারি চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। ‘শক্তিশালী রাষ্ট্র’ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে দেশের ভেতরে সব অংশকে। তবে ‘হামাস’-র প্রত্যাঘাত সেই প্রচারে গুরুতর আঘাত দিয়েছে। ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যম ‘হারিৎজ’ জানাচ্ছে যে আইডিএফ বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল পদাধিকারী রাফি মিলো মেনে নিয়েছেন যে নাগরিকদের মধ্যে ‘প্রচন্ড শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা বা আয়রন ডোম নিয়ে প্রচার ধাক্কা খেয়েছে। সংবাদমাধ্যমে মিলো বলেছেন, ‘‘সুরক্ষা আধিকারিক এবং স্থানীয় প্রশাসনের বার্তা অনুযায়ী আমাদের ওপর ইজরায়েলের নাগরিকদের আস্থা ধাক্কা খেয়েছে, ভেঙে গিয়েছে।’’ 

Comments :0

Login to leave a comment