Jhalda Municipality Crisis

নতুন সঙ্কট ঝালদা পৌরসভায়

রাজ্য

Jhalda Municipality


নতুন করে জটিলতা তৈরি হলো ঝালদা পৌরসভায়। যেন তেন প্রকারে ক্ষমতা দখল রাখতে শাসক দলের নির্লজ্জতা লজ্জার সীমা ছাড়িয়েছে। কোনভাবেই যেন শাসক দল ঝালদা পৌরসভা হাতছাড়া করতে চায় না। শিকেয় উঠেছে নাগরিক পরিষেবা। মাত্র দু'দিন আগে হাইকোর্টের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে পৌরপ্রধান নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী শীলা চট্টোপাধ্যায় কংগ্রেসের সমর্থনে পৌর প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফলাফল ছিল ৭- ০। পৌরসভার পাঁচ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর ওই সভায় উপস্থিত থাকলেও তারা কেউ ভোটদান করেননি। অদ্ভুতভাবে পৌর প্রধান নির্বাচনের ব্যালট পেপার সংগ্রহ করেও তা জমা দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

 বৃহস্পতিবার ঝালদা পৌরসভার পৌরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সদস্যপদ খারিজ করলো ঝালদা মহকুমা শাসক রিতম ঝাঁ। ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হল ঝালদা পৌরসভায়। ঝালদার মহকুমা শাসক শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সদস্যপদ খারিজের নোটিশ পাঠায় পুরুলিয়ার জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারন), ঝালদা পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুরেশ কুমার আগরওয়াল এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর শীলা চ্যাটার্জীকে। কিছুক্ষনের মধ্যেই পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে চেয়ারম্যান নির্বাচন করে রাজ্য সরকার। পৌর আইন 21B of the West Bengal municipal act 1993 21B অনুযায়ী ঝালদা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সদস্যপদ খারিজের জন্য ঝালদা মহকুমা শাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেনন ঝালদা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পৌরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল।

 এরপরই ঝালদার মহকুমা শাসক শিলা চট্টোপাধ্যায়কে তার অবস্থান জানার জন্য একটি নোটিশ পাঠায়। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। এরপরই ঝালদা মহকুমা শাসক শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চলতি মাসের ১৭ জানুয়ারি হেয়ারিং এর জন্য নোটিশ পাঠায় এবং ১৮ তারিখ অভিযোগকারী তৃণমূল কাউন্সিলর সুরেশ আগারওয়ালকে হেয়ারিং এ উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশ পাঠায়। শীলা চট্টোপাধ্যায় ১৭ তারিখ অনুপস্থিত ছিলেন। বুধবার শিলা চট্টোপাধ্যায়ের সদস্যপদ খারিজের নোটিশ জারি করে ঝালদা মহকুমা শাসক। 


উল্লেখ্য, কলকাতা উচ্চ আদালতের নির্দেশে দীর্ঘ টালবাহানার পর ঝালদা পৌরসভায় গত ১৬ জানুয়ারি পৌর প্রধান নির্বাচনে জয়লাভ করে কংগ্রেস। পৌরপ্রধান হন ঝালদা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় এবং উপ পৌরপ্রধান হন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু। ঘটনার তিনদিনের মধ্যেই শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সদস্যপদ খারিজ হওয়ায় আবার নতুন করে জটিলতা তৈরি হলে ঝালদা পৌরসভায়। সদস্যপথ খারিজ যাওয়ার পর শীলা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন এই সরকার কোন আইন কানুন মানে না। তিনি কোন দলেই যোগদান করেননি। কারণ কোন দলে যোগদান করতে গেলে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হয়। তিনি নির্দল কাউন্সিলর হিসেবে এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছিলেন। সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তারপরে। কংগ্রেসের সমর্থনে তিনি নির্দল কাউন্সিলর হিসেবে পৌর প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন। কোন দলেই যোগদান করেননি। ফের তারা আইনের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।
 

Comments :0

Login to leave a comment