সঞ্জিত দে, ধুপগুড়ি
হাইওয়ের ধারে ভরাট হচ্ছে জলাশয়, চলছে জমি দখল। ধুপগুড়ি থানার মাগুরমারি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ময়নাতলি এলাকায় এশিয়ান হাইওয়ের ধারে জমি দখল এবং বেপরোয়াভাবে জলাশয় ভরাটেও জড়িয়ে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের নাম। সব কিছু দেখেও রাজ্য প্রশাসন এবং হাইওয়ে কর্তৃপক্ষের নীরবতায় ক্ষোভ বাড়ছে এলাকায়।
জাতীয় সড়কের পাশেই হোক কিংবা রাজ্য সড়ক, গ্রামের কাঁচা পাকা রাস্তা অথবা শহরের অলিগলির পাশে, যেখানেই ফাঁকা জমি বা জলাশয়, গত এক দশকে তৃণমূলের মদতে জমি মাফিয়াদের দখলে চলে যাচ্ছে।
এলাকাবাসীদের দাবি, পুকুর ভরাট করে চড়া দামে জমি বিক্রির ছক কষছে তৃণমূল নেতা সহ ধুপগুড়ির বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। নাম জড়িয়েছে এলাকার তৃণমূল নেতা ফারুক হোসেনের। অথচ প্রশাসন নাকি কিছুই জানে না!
এর আগেও একাধিক সরকারি জায়গা এভাবে বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগ। এশিয়ান হাইওয়ের জমি দখল করে পুকুর ভরাট করার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন ময়নাতলি এলাকার বাসিন্দা রতন মন্ডল, যাঁকে ঘিরে এই কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘‘এশিয়ান হাইওয়ের জমিতে পুকুর ছিল সেই পুকুরটি ধুপগুড়ির এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে মিলে ভরাট করছি। সামনে এশিয়ান হাইওয়ে পুকুর ধুপগুড়ির আরেক ব্যবসায়ী ভরাট করছে। আর এই সমস্ত বিষয় তৃণমূল নেতা ফারুক হোসেন জানেন। তিনিই করতে বলছেন। তাকে যা বলার বলুন।’’
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ফারুক হোসেন বলেন, ‘‘এশিয়ান হাইওয়ের জমি ভরাট হচ্ছে, তা’হলে প্রশাসন কী করছে?’’
গ্রামের মানুষের কথা, প্রশাসনের সব মহল সব দেখেও চোখ বুঁজে থাকছে। হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ নীরব। চলছে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম।
Comments :0