SIR Md Salim

এসআইআর: ২৯শে কমিশনের সামনে জমায়েতের ডাক বামপন্থীদের

রাজ্য কলকাতা

শুক্রবার কলকাতায় প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বক্তব্য রাখছেন মহম্মদ সেলিম। মঞ্চে নেতৃবৃন্দ।

ভোটার তালিকা সংশোধন উদ্দেশ্য নয়। বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের নির্বাচনে আরএসএস-বিজেপি’র কর্মসূচির অংশ এসআইআর। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া সংগঠিত করতে এই প্রক্রিয়া। প্রকৃত কোনও ভোটারের নাম বাদ দেওয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশনকে সেই হুঁশিয়ারি দিতে ২৯ অক্টোবর রাজ্য সিইও’র দপ্তরের সামনে জমায়েত করবে বামপন্থীরা। 
শুক্রবার কলকাতায় প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে আলোচনা সভায় একথা জানিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, ‘‘সাম্প্রদায়িক শক্তি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে কবজা করে নেয়। নির্বাচন কমিশনকে কবজা করে এসআইআর হচ্ছে সেই প্রক্রিয়াতেই। আরএসএস কবজা করছে নির্বাচন কমিশনকে। জাল ভোট বাদ দেওয়ার জন্য এসআইআর না।’’
সেলিম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের ভাষণের উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘অমিত শাহ বলছে ‘ডিটেক্ট, ডিলিট, ডিপোর্ট‘। চিহ্নিত কর, নাম বাদ দাও, তারপর বাংলাদেশে পাঠিয়ে দাও। যার মানে হচ্ছে সিএএ-এনআরসি’কে ঘুরপথে ফিরে আনা।’’
সেলিম বলেন, ‘‘আমরাও বলছি ভোটার তালিকা ভুলে ভরা। কিন্তু তার দায় কার? দায় এই নির্বাচন কমিশনের। এখন বলছে ৪০ শতাংশ ভুয়ো ভোট। এখন বলছে মৃত ভোটারের নাম রয়েছে। আমরা একথা বারবার বলেছি। কিন্তু বিজেপি-তৃণমূল সংশোধন চায় না। আসলে একটা ভয় তৈরি করছে। এই ভয়কে ব্যবহার করতে চাইছে নির্বাচনের জন্য।’’ 
সেলিম বলেন, ‘‘প্রকৃত ভোটার যাদের নাম আছে তাদের নাম বাদ দেওয়া যাবে না। নতুন নাম তুলতে হবে। ভুয়ো নাম বাদ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে বামপন্থীদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় সহায়ক কেন্দ্র গড়তে হবে। কারণ মানুষের মধ্যে সংশয় এবং আশঙ্কা রয়েছে।’’ তিনি জানান যে নভেম্বর জুড়ে বামপন্থীরা এসআইআর নিয়ে থাকবে আন্দোলনে।  


ভারতে কমিউনিস্ট পার্টির ১০৬ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের অনুষ্ঠানে এদিন বক্তব্য রাখেন সেলিম। ‘প্রতিষ্ঠা দিবসের শপথ, আন্দোলনই পথ’ শীর্ষক আলোচনায় সভাপতিত্ব করেছেন সিপিআই(এম) কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার। মঞ্চে ছিলেন ‘গণশক্তি’-র সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ী, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অনাদি সাহু, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক রতন বাগচী সহ নেতৃবৃন্দ। 
কল্লোল মজুমদার বলেন, ‘‘আজকে সাংগঠনিক প্রতিকূলতার মধ্যেও এগতে হচ্ছে। ফলে চ্যালেঞ্জ হলো, গণভিত্তি বাড়াতে পারব কিনা। তার প্রতিফলন নির্বাচনে যেমন পড়বে, তেমন নির্বাচন বহির্ভূত সংগ্রামেও পড়বে।’’ 
এদিন উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপন্ন মানুষের জন্য কলকাতায় গণসংগ্রহের অর্থ তুলে দেওয়া হয়েছে মহম্মদ সেলিমের হাতে। কল্লোল মজুমদার জানিয়েছে যে ১২ লক্ষের কিছু বেশি টাকা সংগৃহীত হয়েছে ত্রাণে। সেই সঙ্গে বহু সামগ্রী সংগৃহীত হয়েছে। সেগুলি ত্রাণে পাঠানো হচ্ছে উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত জেলাগুলিতে। 
এদিনই সিপিআই(এম) কলকাতা জেলা দপ্তরে নরেন সেন পাঠাগারের ডিজিটাইজেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। উদ্বোধন করেন রাজ্য সম্পাদক। সাড়ে ৫ হাজার বই ‘ডিজিটাইজ’ করা হয়েছে। যাতে দ্রুত বইয়ের সূচি দেখা যায়।

Comments :0

Login to leave a comment