Lok Sabha Election 2024

প্রচারে উঠে আসছে চা শ্রমিকদের যন্ত্রণার কথা

জেলা

উত্তরবঙ্গের চা বাগানের দুর্দশা নিয়ে রাজ্যে এবং কেন্দ্র দুই সরকার তোপের মুখে পড়েছে। জেলার সাতটি চা বাগান বন্ধ। বন্ধ বাগান না-খোলায় এবার চা বলয় এলাকায় ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হচ্ছে। বামেদের প্রার্থী প্রচারে গিয়ে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে উঠে এলো তাদের যন্ত্রণার কথা।
বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লকে মুজনাই চা বাগানে মিলি ওরাঁও প্রচারে গিয়ে চা শ্রমিকদের সাথে মিশে গেলেন। সাদরি ভাষায় চললো কথোপকথন, শ্রমিকদের সাথে পাতা তুলতে ব্যাস্ত তুললেন আলিপুরদুয়ারের বাম প্রার্থী।
চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এদিন প্রার্থী মিলি ওঁরাও বলেছেন, ‘‘আমাদের লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে, চা বাগান শ্রমিকদের অধিকারের দাবিতে। পাট্টা, ন্যূনতম মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শ্রমিকরা। তাকে সামনে রেখেই দুই শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়াই।’’ তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র ও রাজ্য স্বৈরাচার চালাচ্ছে। এই লড়াইয়ে পাশে রয়েছেন বামপন্থী কর্মী সমর্থক এবং আলিপুরদুয়ারের জনতা।’’ 
মিলি বলেছেন, ‘‘বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের জীবন জীবিকা অনিশ্চিত করে দিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রের সরকার। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাকে তলানিতে নিয়ে গেছে। রাজ্যের শিক্ষিত যুবক যুবতী শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন কাজের জন্য। চায়ের ফুল, ঢেঁকি শাক খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। পড়ুয়ারা স্কুল ছুট হচ্ছে। নারী পাচার, নারীদের উপর অত্যাচার বেড়েছে এই সরকারের আমলেই। ’’ তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে সংবিধানকে বাঁচাতে হলে লোকসভায় বামপন্থীদের প্রয়োজন আছে।’’
মহিলা নেত্রী আশা ছেত্রী বলেন, কেন্দ্র বা রাজ্য, কেউ কথা রাখেনি। চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি চালু হয়নি। জমির পাট্টা দেওয়ার নামে মাত্র পাঁচ ডেসিমেল জমি দেওয়া হচ্ছে। সেই জমি দেওয়া হচ্ছে চা শ্রমিকদের বসবাসের এলাকা থেকে দূরে। আসলে কর্পোরেটদের হাতে চা বাগান তুলে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের সরকারও দায়িত্ব নিচ্ছে না। গত পাঁচ বছর বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক দীর্ঘদিন থেকে সাতটি বন্ধ চা বাগান খোলার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। রাজ্য কেন্দ্র কেঊ শ্রমিকদের কথা ভাবছে না। এবারে নুতন ভাবে লড়াইয়ে সামিল হচ্ছেন চা বাগানের শ্রমিকরা।
গত ২৬ মার্চ আলিপুরদুয়ার শহরে মিছিল করে বামফ্রন্টের জেলা নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে বামফ্রন্ট প্রার্থী মিলি ওরাওঁ মনোয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। সেদিন ভোট গ্রহণ হবে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে।
 

Comments :0

Login to leave a comment