রামশংকর চক্রবর্তী-তমলুক
তৃণমূল লুট করেছে হলদিয়াতে। ধ্বংস হয়েছে হলদিয়ার একের পর এক শিল্প কলকারখানা। সর্বনাশ হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দাদের। হলদিয়াকে ধ্বংস করেছে শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূল বাহিনী। হলদিয়ার শিল্প পরিকাঠামোর উন্নয়ন চাই, কল কারখানা চাই, তবেই হবে নতুনদের জন্য কর্মসংস্থান। ২০১১ পরবর্তী সময় থেকে হলদিয়া থেকে বৃহত্তর শিল্প সংস্থাগুলি পাততারি গুটিয়েছে তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের তোলাবাজির ফলে। পরিবর্তন চাইছে হলদিয়ার মানুষ। বামফ্রন্ট সরকার হলদিয়া শিল্পাঞ্চল তৈরি করেছিল সেই কথা জানেন এখানকার মানুষ। বামফ্রন্টের সৌজন্যে সরকারি অধিকৃত জমিতে হাজার হাজার মানুষ বসবাসের জন্য জমি পেয়েছিল। তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা সেই সমস্ত দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষদের উচ্ছেদ করতে বারে বারে আক্রমণ করেছে। শুক্রবার তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআই(এম) প্রার্থী সায়ন ব্যানার্জি হলদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেন। এই সমস্ত দাবিগুলি তাঁর কাছে তুলে ধরেন হলদিয়ার বাসিন্দারা। তাঁরা বর্ণনা করেন তৃণমূলের আক্রমণের চিত্র। কিভাবে একের পর এক শিল্প সংস্থা ছোট ছোট কলকারখানা তোলাবাজির ফলে বন্ধ হয়েছে তা জানান শ্রমজীবী অংশের মানুষজন। কাজ গিয়েছে কয়েক হাজার শ্রমিকের। এই সব কিছুর জন্য দায়ী যারা তারাই এখন বিজেপির ঝান্ডার তলায়। মানুষ পরিবর্তন চাইছে। এদিন হলদিয়ার মিলন বাজার, বাড় ঘাসিপুর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড, ২২ নম্বর ওয়ার্ড রত্নার মাঠ কলোনি, হিন্দুস্থান কলোনি, পরে গিরিশ মোড় থেকে মঞ্জুশ্রী দুর্গাচক হয়ে সিপিটি মার্কেট পর্যন্ত মিছিল হয়। অসংখ্য মানুষ পা মেলান মিছিলে। সাধারণ মানুষ দোকানদার স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসে প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেন। এদিন সারাদিনের প্রচার কর্মসূচিতে সিপিআই(এম) প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন পরিতোষ পট্টনায়েক, অচিন্ত্য শাসমল, অশোক পাত্র, রীনা পাহাড়ি, শ্যামল দাস অধিকারী, পুর্বাশা সামন্ত সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
Comments :0