WATER CRISIS MEXICO CITY

শুকিয়ে যাচ্ছে মেক্সিকো সিটি, জল বন্ধ হওয়ার মুখে

আন্তর্জাতিক

বৃষ্টি আসতে এখনও চার মাস। এর মধ্যেই তীব্র জলকষ্টে ভুগছে মেক্সিকো সিটি। বিশ্বের অন্যতম জনবহুল এই শহর এবং সংলগ্ন এলাকার নাগরিকরা নামছেন বিক্ষোভে।
জলকষ্ট যদিও মেক্সিকো সিটির বিষয় কেবল নয়। বস্তুত কলকাতাতেও জলকষ্ট দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। সবে শীত বিদায় নিয়েছে। গরম এখনও পড়েনি। জলের চাহিদা তুলনায় কম। তার মধ্যেই এই অবস্থা।
মেক্সিকো সিটির সঙ্গে কলকাতার ভূ-প্রাকৃতিক ফারাক যদিও রয়েছে। মেক্সিকোর রাজধানী শহর সমুদ্রতল থেকে ৭ হাজার ৩০০ ফুট উঁচুতে। হ্রদের পার ধরে বিস্তৃত এই জনপদ। বাসিন্দা ২ কোটি ২০ লক্ষের কিছু বেশি। 
কেন জলসঙ্কট। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই আলোচনায় রয়েছে জল সরবরাহ বন্দোবস্তের ত্রুটি, পরিকল্পনার অভাব। দুর্নীতিও বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে জলবায়ু সঙ্কট। বিশ্ব উষ্ণায়ের প্রভাব পড়ছে যে যে জনবহুল এলাকায় সবচেয়ে বেশি, তার অন্যতম মেক্সিকো সিটি। 
বিশেষজ্ঞদের অনেকের আশঙ্কা, কয়েকমাস মাত্র চলার মতো জলের ভাণ্ডার রয়েছে। প্রশাসন জল রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। 
মেক্সিকোতে টানা কয়েকবছর বৃষ্টি হয়েছে স্বাভাবিকের কম। মাটির নিচে জলতল গিয়েছে নিচে। উত্তাপের কারণে নেমে গিয়েছে জলভাগের স্তরও। 
মেকসিকো সিটির জলের জোগানের ভরসা মাটির নিচের ভাণ্ডার। প্রায় ৬০ শতাংশ জলের জোগান হয় মাটির নিচে সঞ্চিত জল থেকে। তার ব্যবহার হয়েছে কিন্তু বৃষ্টির জল সেই অনুপাতে মাটির স্তর চুঁইয়ে নিচে নামেনি। এখন আর জল জোগাতে পারছে না ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক জলাধার। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, বছরে ২০ ইঞ্চি করে নেমে চলেছে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর। বিশেষজ্ঞদের মতে এই হারকে বিপজ্জনক বললেও কম বলা হয়। 
শহরে জলের বাকিটা আনা হয় দূরে জলাশয় থেকে। ‘কুঝজামালা ওয়াটার সিস্টেম’ বলে একটি জলচক্র চালু রয়েছে। তার মধ্যে কৃত্রিম জলাধার রয়েছে, রয়েছে খাল, পাম্পিং স্টেশনও। এই ব্যবস্থায় মোক্সিকো সিটির ২৫ শতাংশ জলের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তীব্র খরায় এই ব্যবস্থার ৩৯ শতাংশ অকেজো হয়ে পড়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment