ফের ডেঙ্গুতে মৃত্যু। দেগঙ্গায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে দাবি পরিবারের। সরকারি হাসপাতাল থেকে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ গোপন করছে তার জবাব দিতে হবে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ মৃতার পরিবারের। মৃত গৃহবধুর নাম শাহানারা বিবি(৩৪)। ওই গৃহবধূ দেগঙ্গার নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরডাঙ্গার বাসিন্দা। জানা গেছে, গত সোমবার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করে ডেঙ্গু পজেটিভ ধরা পড়ে। বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে তিনদিন চিকিৎসা চলার পরে বুধবার তাঁর অবস্থার অবনতি হলে বারাসাত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার সকালে ওই গৃহবধুর মৃত্যু হয়।
রাজ্যে ডেঙ্গুর ভয়ঙ্কর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ রয়েছে বহুল মাত্রায়। কিন্তু বিস্ময়করভাবে সেখানে ডেঙ্গুর বিপদকে লঘু করে দেখাতেই ব্যস্ত তৃণমূল প্রশাসন। এই তথ্য চাপা দেওয়ার প্রবণতাই সাধারণ মানুষের পক্ষে প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে বলে অভিমত চিকিৎসকদের। রাজ্যে এখনও প্রতিদিনই বহু মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চলেছেন বলে বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্রের খবর। চলতি মাসের প্রথম দিকে শেষবার রাজ্য সরকার ডেঙ্গু অ্যানালিসিস রিপোর্ট প্রকাশ করে।
এরপর থেকে অত্যন্ত অনিয়মিত ও দায়সারাভাবে শুধুমাত্র দৈনিক কত টেস্ট হলো আর কত আক্রান্ত হলো তার কিছু কিছু বলা হয় স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। সরকারি একটি সূত্রে খবর এখন রাজ্যে প্রতিদিন তিনশো থেকে সাড়ে তিনশো জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে মোট ৪ হাজার ৯৮৩ জনের ডেঙ্গু পরীক্ষা হয়েছে। মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩২৬ জন।
রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে বেসরকারি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে। মৃত্যু সংখ্যাও অন্ততপক্ষে ৯০’র ঘরে বলে বিভিন্ন সূত্রের তথ্য। তবে রাজ্য সরকার তা স্বীকার করছে না। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কোথাও না কোথাও প্রায় রোজই মৃত্যু ঘটছে ডেঙ্গুতে, তার খবর মিলছে দেরিতে। দেগঙ্গায় ডেঙ্গুতে মৃত গৃহবধুর স্বামী মশিয়ার রহমানের দাবি তাঁর স্ত্রীর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হাসপাতাল মৃত্যুর প্রকৃত কারণ গোপন করেছে। কেন এটা করা হলো? আমি এর জবাব চাই।
Comments :0