Tapan Sen

সংসদ অভিযান নিয়ে ভিডিও বার্তা সিআইটিইউ সাধারণ সম্পাদকের

জাতীয়

৫ এপ্রিল দিল্লিতে কৃষক, শ্রমিক এবং খেতমজুর সমাবেশকে সমর্থন জানিয়ে ভিডিও বার্তা পাঠালেন সিআইটিইউ'র সাধারণ সম্পাদক তপন সেন।

ভিডিও বার্তায় তখন সেন বলেন, কর্পোরেট পুঁজি এবং সাম্প্রদায়িক জোট শক্তির সরকার সারাদেশের মেহনতী মানুষের উপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে। তার প্রতিবাদেই ৫ এপ্রিলের সমাবেশ । গত ছয় মাস ধরে সিআইটিইউ, কৃষক সভা এবং খেতমজুর ইউনিয়নের কর্মীরা যৌথভাবে এই সমাবেশের প্রচার চালিয়েছেন।

তপন সেন বলেন, সমাবেশের মূল দাবি দাবি হল শ্রমজীবী মানুষকে  ন্যূনতম ২৬ হাজার টাকা   মজুরি দিতে হবে প্রতি মাসে । গত ৮ বছর ধরে দেশে উপযুক্ত পারিশ্রমিক মিলছে না। তার ফলে ক্ষুধার সমস্যা বাড়ছে। এর ফলে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার  হ্রাস পেয়েছে।

পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করে তপন সেন বলেন, এই পরিস্থিতির ফলে কাজের সুযোগ কমছে। নতুন কাজ নেই। যাদের কাজ ছিল তারাও কাজ হারাচ্ছেন। এই অস্থিরতার ফলে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোগপতিরাও বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছে। এই ২৬ হাজার টাকার দাবি বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিকভাবে বাঁচতে গেলে প্রতিদিন ২৭০০ ক্যালোরি খাদ্য গ্রহণ করতে হবে প্রতিদিন। বর্তমান বাজারদরকে নজরে রাখলে, ২৬ হাজার টাকা ন্যূনতম বেতন না হলে এই পরিমাণ খাবার কেনা সম্ভব না।

তপন সেন বলেন, ২৭০০ ক্যালোর ফর্মুলার উপরে আরো ২৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির সুপারিশ করে সুপ্রিম কোর্ট। ভারতীয়  শ্রম  সম্মেলনে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকার এবং মালিকপক্ষের উপস্থিতিতে এই ফর্মুলায় নূন্যতম মজুরির হার নির্ধারিত হয়। কিন্তু তারপর কেন্দ্রীয়   সরকার সেখান থেকে কিছু হঠে।

বিবৃতিতে তখন সেন বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা শ্রমিক কৃষক এবং ক্ষেতমজুরদের। কিন্তু বর্তমানে তাদের পরিস্থিতি শোচনীয়। এই তিন অংশের মানুষের মধ্যে বেকারত্ব বাড়ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে বেতন না মেলায় ক্ষুধার মাত্রাও বাড়ছে। এই অবস্থা পাল্টানো এবং সরকারকে নিজের ঠিক করে দেওয়ার ন্যূনতম মজুরির ফর্মুলায় ফেরত আনতে ৫ই এপ্রিল সংঘর্ষ র‍্যালির ডাক দেওয়া হয়েছে।

Comments :0

Login to leave a comment