শুভঙ্কর দাস
কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে, ওড়িশা এফসির কাছে ৫-২ গোলে হার সবুজ মেরুনের।
ম্যাচের শুরু থেকেই প্রাধান্য বজায় রেখে খেলা শুরু করে মোহনবাগান। আর সেই সুবাদেই ঠিক ১৫ মিনিটের মাথায়, হুগো বুমোসের গোলে এগিয়ে যায় সবুজ মেরুন। কিন্তু গোল খেলেও, খেলা থেকে হারিয়ে যায়নি ওড়িশা।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে, রয় কৃষ্ণর গোলে সমতা ফেরায় তাঁরা। তার কয়েকমুহূর্ত বাদেই আবার গোল। এবার কৃষ্ণর অ্যাসিস্ট থেকে গোল করলেন দিয়েগো মরিসিও। পুরনো দলের বিরুদ্ধে যেন আবার জ্বলে উঠলেন সেই রয় কৃষ্ণ। স্বভাবতই, কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলে ফেরেন্দোর ছেলেরা।
সেখানেই শেষ নয়, ওড়িশা ঝড় যেন তারপরেও অব্যাহত। ম্যাচের ৪১ মিনিটে, গোডার্ডের গোলে আরও এগিয়ে যায় ওড়িশা। প্রথমার্ধ শেষ হয় ৩-১ ফলাফল নিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুটি পরিবর্তন করেন মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরেন্দো। গ্লেন মার্টিন্সের বদলে মাঠে নিয়ে আসেন অনিরুদ্ধ থাপাকে এবং আর্মান্দো সাদিকুর জায়গায় নামান কিয়ান নাসিরিকে।
ম্যাচের ৫৭ মিনিটে, লিস্টন কোলাসোর ফ্রিকিক সেভ না হলে, ম্যাচের ফলাফল তখনই বদলে যেতে পারত। ক্রমাগত প্রেসিং ফুটবলের মাধ্যমেই আবার খেলায় ফিরে আসে সবুজ মেরুন ব্রিগেড।
ম্যাচের ৬২ মিনিটে, বাঁ-প্রান্ত দিয়ে বাড়ানো বুমোসের ক্রস থেকে দুরন্ত হেডে গোল করেন কিয়ান নাসিরি, একেবারে সুপার সাব। আর এই গোলের পরেই আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় মোহনবাগান। একের পর এক অ্যাটাকে তখন কার্যত দিশেহারা ওডিশা এফসি।
দ্বিতীয়ার্ধে মোহন বাগানের খেলায় গতি আসলেও হঠাৎ করেই ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় মোহনবাগান। তারফলে ম্যাচের ৯২ মিনিটে অনিকেত যাদবের গোল এবং ৯৫ মিনিটে ইসাকের ব্যাক টু ব্যাক গোলে জয়ের আশা কার্যত শেষ হয়ে যায় মোহনবাগানের।
শেষপর্যন্ত, ৫-২ গোলে মোহনবাগানকে হারিয়ে জয়ী হয় ওড়িশা এফসি।
এই জয়ের ফলে এএফসি কাপের গ্রুপ-ডি’তে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল ওডিশা। সের্জিও লোবেরার টিমের ৫ ম্যাচে সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট। গ্রুপ শীর্ষে থাকা বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের থেকে ১ পয়েন্টে পিছিয়ে রয়েছে আইএসএল’র দলটি। অপরদিকে এই ম্যাচ শেষে বাগানের পয়েন্ট ৭। পাঁচ ম্যাচ খেলে। ১১ নভেম্বর বসুন্ধরার সঙ্গে ওডিশার ম্যাচ। সেই ম্যাচের জয়ী দল চলে যাবে এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল প্লে-অফ সেমিফাইনালে। সোমবারের ম্যাচ হারার ফলে আন্তঃদেশীয় প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেল মোহনবাগান।
Comments :0