মলয়কান্তি মণ্ডল▫️ রানিগঞ্জ
বাংলার মানুষ ধর্মের নামে হানাহানি চায় না। শিক্ষা চায়, কাজ চায়, নিরাপত্তা চাই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও দুর্নীতিবাজদের শাস্তির দাবিতে ৭ জানুয়ারি যৌবনের ডাকে ইনসাফ চাইবে জনগণের ব্রিগেড। মানুষের জীবন যন্ত্রণার উত্তর চাইবে ব্রিগেড সমাবেশ। পশ্চিমবঙ্গকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যেতে হলে দিল্লীর সরকারটাকে পাল্টাতে হবে। মোদী মমতা সেটিং রাজনীতি করে একে অপরের সহায়তা করছে। সিপিআই(এম) রানিগঞ্জ এরিয়া কমিটির ডাকে বুধবার রানিগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড প্রাঙ্গনে একথা বলেন রাজ্যের শ্রমিক নেতা কৌস্তভ চ্যাটার্জি।
এদিনের এই সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন বিধায়ক ও শ্রমিক নেতা রুনু দত্ত, সিপিআই(এম) কমিটির সম্পাদক সুপ্রিয় রায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ ও পার্টিনেতা বংশ গোপাল চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন নারাণ বাউরি।
৭ তারিখ ব্রিগেড সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানিয়ে সমাবেশে কৌস্তুভ চ্যাটার্জি বলেন, দুর্নীতির সরকার চলছে। আমরা শ্লোগান দিয়েছি 'চোর ধরো, জেল ভরো।' বিজেপির শ্লোগান 'চোর ধরো, দলে ভরো।' বিজেপি তৃণমূল নির্লজ্জভাবে দলবদল করছে। শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে একমাত্র বামপন্থীরাই লড়াই করে আসছে। তিনি বলেন, আজ বামপন্থীরা বিধানসভায় শূণ্য বলেই মানুষের রুটিরুজি আক্রান্ত, বেকারের কাজ নেই, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, বস্তি উচ্ছেদের চক্রান্ত চলছে, বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। মানুষের অবস্থা দিনদিন খারাপ হচ্ছে আর দেশ ও রাজ্যের সাংসদ, মন্ত্রী , বিধায়কদের মাইনে বাড়ছে। বিজেপি নির্বাচনী বন্ডে ১৬৪২ কোটি টাকা নিয়েছে। তৃণমূলও ৫৪০ কোটি টাকা তুলেছে। মানুষের কথা ওরা বলবে না। রানিগঞ্জ আসানসোলের কলকারখানা বন্ধ, কয়লাখনি বেসরকারিকরণের চেষ্টা চলছে। রাজ্যর তৃণমূল ও দেশের বিজেপি সরকারের নীতির কারণে দেশের মানুষ বিপন্ন। ধর্মের নামে মানুষে মানুষে বিভাজন তৈরি করছে। গোটা দেশে বিজেপি এবং রাজ্যে তৃণমূল শিক্ষা, সংস্কৃতি ধ্বংস করছে। বাংলার মানুষ পিছনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এদিন তিনি জনগণের কাছে আহ্বান জানান , তৃণমূল ও বিজেপির হানাহানি ও লুটের রাজনীতি রুখে দিতে হবে। তিনি রানিগঞ্জের কয়লা, বালির সাথে পঞ্চায়েত ও কর্পোরেশনের লুট নিয়ে নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, রানিগঞ্জ, জামুরিয়া ও কুলটিকে আসানসোল কর্পোরেশনের সঙ্গে যুক্ত করে পৌর পরিষেবা বেহাল হয়েছে। রানিগঞ্জের ফুটপাত তৈরির জন্য একবার টেন্ডার ডাকা হয়েছে এখন আবার ফুটপাত ভাঙ্গার জন্য টেন্ডার ডাকা হচ্ছে। সর্বত্র দুর্নীতি। একশো দিনের কাজ বন্ধ। আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি হয়নি। এখন তৃণমূল বিজেপি দুটো দলই কয়লা বালির টাকা ভাগ বাটোয়ারা করছে। দুর্নীতি ও অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে ইনসাফের দাবিতে সারা পশ্চিমবাংলায় লড়াইয়ের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। কয়লাঞ্চলের বহু মানুষ জনসভায় শামিল হন।
Comments :0