একদিকে প্রধানমন্ত্রী, আরেকদিকে মুখ্যমন্ত্রী। এই দুই ভিআইপি নেতা নেত্রীর আগমণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠলো পুরুলিয়া শহর এবং শহরতলীর মানুষের। মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রা ছিল পুরুলিয়া শহরে। রবিবার সকাল থেকে কার্যত গোটা শহর অবরুদ্ধ হয়ে যায়। রাস্তার দখল চলে যায় পুলিশ এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারদের হাতে। প্রধানমন্ত্রীর সভা ছিল পুরুলিয়া শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে গেঙ্গারায়। প্রধানমন্ত্রীর সভার সময় ছিল সকাল ১১টা। তিনি এলেন দুপুর একটায়। চড়া রোদের মধ্যে মানুষকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে বসে থাকতে হয়। মঞ্চ থেকে বসার জায়গা সবকিছুই ছিল এলাহীব্যবস্থা। এই চড়া রোদের মধ্যে জলের জন্য সাধারণ মানুষকে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। ভাষণ জুড়ে শুধুই মোদীর গ্যারান্টি। তাঁর কথা শুনে মনে হল দেশের সরকার নয় যা কাজ হয়েছে সব মোদী করেছেন। ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের সমালোচনা করে বলেন মোদী বলেন, ‘ইন্ডিয়া’ সংবিধানকে শেষ করে দেবে, কর্নাটকে নাকি ওবিসি কোটা কেটে নিয়ে মুসলিমদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার দাবি তিনি কখনো মিথ্যা বলেন না। এবারে তার স্লোগান ভ্রষ্টাচার দূর করবেন। চুরি যাওয়া পয়সা পৌঁছে দেবেন মানুষের হাতে। আর খেলে গেলেন আবার সেই ধর্মের তাস। পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের সীতাকুণ্ড। রাম নাকি বনবাসে কালে এখানে এসেছিলেন। যার কোন ঐতিহাসিক সত্যতা নেই।
আর দুপুরে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর পুরুলিয়া শহরে পদযাত্রা। সে পদযাত্রায় যতো না মানুষ ছিল তার থেকে বেশি ছিল পুলিশ এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার। তৃণমূল কর্মীদের একাংশের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রা এক কথায় ফ্লপ। রাস্তার দু'ধারে উৎসাহী মানুষ হয়তো দাঁড়িয়ে ছিলেন কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর পেছনে থাকা পদযাত্রীদের সংখ্যা যথেষ্ট কম ছিল। যা দেখে নাকি মুখ্যমন্ত্রী রুষ্ট হয়েছেন।
Modi- Mamata
পুরুলিয়ায় ধর্মের তাস খেললেন প্রধানমন্ত্রী, পদযাত্রায় রুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী
×
Comments :0