কেবল ইডি আধিকারিকরাই নন। তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনীর হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও। সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানালো কলকাতা প্রেস ক্লাব।
শুক্রবার সকালে রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশিতেও গিয়েছিল ইডি। ইডি আধিকারিকরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গেলেও হামলা থেকে বাঁচতে পারেননি। তৃণমূল নেতা শাজাহান সেখের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। সেই সময়ই সন্দেশখালির সরবেরিয়ায় হয় হামলা। খবর করতে আসা সাংবাদিকদের মারধর করা হয়। কয়েকজন হাসপাতালে। ভাঙচুর করা হয় সংবাদমাধ্যমের গাড়ি। ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়েছে।
কলকাতা প্রেস ক্লাবের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘উত্তর চব্বিশ পরগনার সরবেরিয়ায় এক স্থানীয় রাজনৈতিক নেতার বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তল্লাশির খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে শুক্রবার সকালে আক্রান্ত সংবাদ মাধ্যম। তাঁদের কাজে বাধা দিতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় সাংবাদিকদের। ভেঙে দেওয়া হয় চিত্রগ্রাহকের ক্যামেরা। রক্তাক্ত গাড়ির চালক। এই জঘন্য ঘটনার আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। তীব্র নিন্দা করছে প্রেস ক্লাব কলকাতা।’’
ইডি এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার নিন্দা হয়েছে সব স্তর থেকে। বিবৃতি দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
রাজ্যে সংবাদমাধ্যমের ওপর এই হামলা যদিও প্রথম নয়। বারেরবারেই এমন ঘটনা বিভিন্ন প্রান্তে শোনা গিয়েছে। ভোট জালিয়াতি বা গণনা জালিয়াতির সময় কাছে ক্যামেরা থাকলেই হামলা হয়েছে। সংবাদকর্মীরা খবর সংগ্রহ করলেই তা যে শেষ পর্যন্ত সম্প্রচারিত হয়, অনেকসময়ই তা নয় বলে অভিযোগ উঠেছে। দিল্লির সরকারের মতোই রাজ্যের সরকারের অনুগামী হয়ে চলার অভিযোগ রয়েছে সংবাদমাধ্যমের ওপর।
বিরোধীদের বক্তব্য, কিন্তু দুষ্কর্মের সামান্য প্রমাণও চাপতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। যে কারণে এদিন সকালে দুষ্কৃতী বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে সংবাদমাধ্যমের ওপর।
প্রেস ক্লাব কঠোর ব্যবস্থার দাবিও তুলেছে এদিন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছে, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি বিধানের ব্যবস্থা করতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা। সাংবাদিকদের কাজ খবর সংগ্রহ করা। এটা তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার। সেই কাজে বাধা দিতে তাঁদের ওপর আক্রমণ নামিয়ে আনার অধিকার কারও নেই।’’
Comments :0