Wolf

প্রাণ বাঁচাতে নেকড়েকে পিটিয়ে মারলেন গ্রামবাসীরা

জেলা

জঙ্গল থেকে লোকালয় এসে গ্রামের পর গ্রামে মানুষের উপর হামলা চালালো এক নেকড়ে। আর তাতেই আতঙ্কে গ্রামবাসীরা প্রাণ বাঁচাতে ইঁট, পাথর, লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে মেরে ফেলল ওই নেকড়েটিকে। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার কোটশিলা থানার টাটুয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় মেটলা গ্রামে। বনদপ্তর থেকে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের যতই দাবি করা হোক এই ঘটনা প্রমাণ করে যে মানুষের মধ্যে এখনো সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। আবার পাশাপাশি এটাও সত্য বন্যপ্রাণের হাত থেকে গ্রামবাসীদের কিভাবে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই বন দপ্তরের। যার ফলে লোকালয়ে হামলা চালানো নেকড়েকে পিটিয়ে মেরে ফেলল গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার দুপুরে খবর পাওয়ার পর বন দপ্তরের আধিকারিকরা সেখানে গিয়ে মৃত বন্য প্রাণীটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
দু'বছর আগেই কোটশিলা বনাঞ্চলের সিমনি বিটে বনদপ্তরের ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল চিতা বাঘের অস্তিত্ব। ঝাড়খন্ড লাগোয়া এই এলাকায় চিতা বাঘের অস্তিত্ব আগেও পাওয়া গিয়েছিল। গত একমাস ধরে কোটশিলা বনাঞ্চলের এই সিমনি এলাকায় নেকড়ে হামলা চালাচ্ছে। ঘরের ভিতরেও ঢুকে যাচ্ছে সেই নেকড়ে। সোমবার গ্রামে কৃষ্ণচরণ মাহাতো নামে এক সবজি বিক্রেতাকে আক্রমণ করে ওই নেকড়ে। তারপর ওই নেকড়ে চলে যায় বারুডি গ্রামে। সেখানে একটি নির্মাণ কাজ চলছিল। এক নির্মাণ শ্রমিকের আক্রমণ করার পরে আট বছরের এক পড়ুয়াকে কামড়ে দেয়। এরপর টাটুয়ারা গ্রামের মাঝি তোলার পলাশ জঙ্গলে গিয়ে এক মহিলার উপর হামলা চালালে তিনি জখম হন। জখম হওয়া প্রত্যেককেই কোটশিলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। মঙ্গলবার সকালে বড় মেটলা গ্রামের একটি জোড়ের কাছে এক মহিলা সহ আরো দুজনের উপর হামলা চালিয়ে কামড়ে দেয়। এর পরে মানুষজন আতঙ্কে ঘর থেকে লাঠি সোঁটা নিয়ে বেরিয়ে এসে ওই নেকড়েকে পিটিয়ে মেরে দেয়। ঘটনার পরেও এলাকার মানুষের মধ্যে রয়েছে আতঙ্ক। উল্লেখ্য; প্রায় দশ বছর আগে পুরুলিয়ার কোটশিলা বনাঞ্চলেরই নোয়াহাতু বিটের টাটুয়ারা গ্রামে পূর্ণবয়স্ক একটি চিতাকে পিটিয়ে মেরেছিল গ্রামবাসীরা। এবারও যেন সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

Comments :0

Login to leave a comment