উৎসবের দিনে অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করলেন ডিওয়াইএফআই নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার ধর্মতলায় অবস্থান মঞ্চে যান তাঁরা।
এদিন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে মীনাক্ষী মুখার্জী বলেন, ‘‘এটা গোটা রাজ্যের সমস্যা। এই লড়াই আপনারা একা লড়ছেন না। আমরাও লড়ছি, আপনাদের সঙ্গে একসঙ্গে। এটা যৌথ লড়াই।’’
মীনাক্ষী বলেছেন, ‘‘এই লড়াইয়ে আরও মানুষকে যুক্ত করার বার্তা নিয়ে আমরা ইনসাফ যাত্রা শুরু করব ৩ নভেম্বর থেকে। কোচবিহার থেকে শুরু হবে এই যাত্রা এবং যাত্রা শেষে ব্রিগেডে জনসভা করব আমরা। ৭ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশে আপনাদেরও পাশে চাই।’’
ডিওয়াইএফআই নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘‘কাজের কথা, কাজ না পাোয়ার কথা যত সামনে আসে ততই ওরা ফাঁদ পাতে ধর্মের নামে, জাতের নামে। কাল্পনিক শত্রু সাজিয়ে সিলেবাস সাহায় বিভেদের। আর পাঠ্য থেকে বাদ যান রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-সুকান্ত। বাড়ানো হচ্ছে চাল, ডাল, আনাজ, পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাস, জীবনদায়ী ওষুধের দাম।’’
সিআইটিইউ নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষও ছিলেন এদিন। তিনি বলেছেন, ‘‘গত বছরেও আমরা উৎসবের দিনে আপনাদের এখানে এসেছিলাম। প্রতিবারই আসি। এবারও এসেছি। শুধু আপনাদের হকের চাকরি নয়, সঙ্গে অন্যান্য চাকরি নিয়োগ, নতুন পদ ঘোষণা নিয়েও আমাদের একসঙ্গে লড়তে হবে।’’
রাজ্য এবং কেন্দ্রে সরকারি দপ্তরে বহু শূন্যপদ পড়ে থাকলেও নিয়োগ হচ্ছে। পরীক্ষা হচ্ছে না। স্কুল মাদ্রাসায় নিয়োগ বন্ধ। পরীক্ষাও অনিয়মিত। নিয়োগের এই দাবি নিয়েও লড়ছেন ডিওয়াইএফআই।
অবস্থানরত চাকরিপ্রার্থীরা ক্ষোভ জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মহিলারা অনেকেই। তাঁদেরই একজন বলেছেন, আমাদের ছোট ছোট শিশু রয়েছে। সংসার ফেলে এখানে আসতে হচ্ছে রোজ। আমাদের চাকরির দাবি ন্যায্য। নিয়োগের পরীক্ষায় পাশ করেছি। এই অপরাধীদের সরকার চাকরি বিক্রি করে দিচ্ছে।
কেউ কেউ বলেছেন, এমন চললে লেখাপড়ায় আগ্রহ কমে যাবে, যাচ্ছেও। কারণ জানে এই রাজ্যে লেখাপড়া করলে চাকরি নেই। এইভাবে স্কুল কলেজে ভর্তি কমে যাচ্ছে। বিএড কলেজে কেউ ভর্তি হচ্ছে না, কারণ এসএসসি পরীক্ষাই বন্ধ। কলেজগুলিও ছাত্র শূন্য হয়ে বন্ধ হয়ে যাবে। সেগুলিকে প্রোমোটারদের কাছে বিক্রি করে দেবে এই সরকার।
এদিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ডিওয়াইএফআই’র সাধারণ সম্পাদক হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য, রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা, যুবশক্তি পত্রিকার সম্পাদক কলতান দাশগুপ্তও।
Comments :0