INFLATION CPI SEPTEMBER

সেপ্টেম্বরে দানাশস্যে মূল্যবৃদ্ধির হার ১০.৯৫ শতাংশ

জাতীয়

আগস্টের তুলনায় খানিক কমেছে দাম বাড়ার হার। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সেই অনুমান ছিলই। তবে সব দ্রব্যের মিলিত দামে বৃদ্ধির হার কমলেও খাদ্য এবং দানাশস্যে হার চড়া। আমজনতাকে সেপ্টেম্বরেও দানাশস্য কিনতে গত বছরের তুলনায় ১০.৯৫ শতাংশ বাড়তি দাম মেটাতে হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ক্রেতা মূল্য সূচকের নিরিখে সেপ্টেম্বরের মূল্যবৃদ্ধির হার প্রকাশ করা হয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর (এনএসও) এবং কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ন মন্ত্রক এই তথ্য প্রকাশ করেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সঙ্গে এ বছরের সেপ্টেম্বরের দাম সূচকের তুলনা করা হয়েছে। ক্রেতারা যে বাজার থেকে কেনাকাটি করেন ক্রেতা মূল্য সূচক ঠিক হয় সেই খুচরো বাজারে দামের ভিত্তিতে। 

সেপ্টেম্বরে সব দ্রব্যের দামবৃদ্ধির হার আগের বছরের তুলনায় ৫.০২ শতাংশ। শহরাঞ্চলে এই হার ৪.৬৫ শতাংশ, গ্রামাঞ্চলে ৫.৩৮ শতাংশ। আগস্টে সব দ্রব্যের মিলিত দাম বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৮৩ শতাংশ। সব ধরনের খাদ্য এবং পানীয় ধরলে মূল্যবৃদ্ধির হার সেপ্টেম্বরে হয়েছে ৬.৫৬ শতাংশ, আগস্টে ছিল ৯.৯৪ শতাংশ।

খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে দানাশস্য আলাদা করে ধরলেই বোঝা যাচ্ছে দামের বোঝা আসলে কতটা। গত বছরের তুলনায় খুচরো বাজারে দানাশস্যের দাম বৃদ্ধির হার ১০.৯৫ শতাংশ। গরিব এবং নিম্নবিত্ত পরিবারে খাদ্যের জন্য খরচের বড় অংশ দানাশস্যের জন্যই। করোনার সময়ে চালু আর্থিক সঙ্কটাপন্ন পরিবারে দশ কেজি চালের বরাদ্দও আর নেই। মাংস এবং মাছে দামবৃদ্ধির হার ৪.১১ শতাংশ, ডিমে ৬.৪২ শতাংশ। 

পাঁঠার মাংসের দাম কেজিতে ৮০০ টাকা ছাড়িয়ে রয়েছে অনেকদিন, মাছে ৩০০ টাকা প্রায়, মুরগির মাংস ২০০ টাকা ছাড়িয়ে। গত মাসের তুলনায় দাম বাড়ার হার ৪ শতাংশের আশেপাশে। কিন্তু দামে স্তর আগে থেকেই চড়া। 

সেপ্টেম্বরের হিসেব বলছে পরিবহণে খরচ বেড়েছে ২.২৮ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় সূচকের পার্থক্য বোঝাচ্ছে এই সংখ্যা। বাস্তবে গাড়িভাড়ার খরচ করোনার পর থেকে চড়া হয়েই রয়েছে। দু’চাকার যানে যাতায়াতের পেট্রোলও লিটারে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে। তেমনই রান্নার তেলের দাম ১৪.০৪ শতাংশ কমলেও বাজারে লিটার পিছু ১০০ টাকা খরচ আছে। 

সেপ্টেম্বরে ফলের দামবৃদ্ধির হার ৭.৩০ শতাংশ, সবজি ৩.৩৯ শতাংশ, ডাল ১৬.৩৮ শতাংশ, মসলা ২৩.০৬ শতাংশ। স্বাস্থ্যখাতে খরচ বেড়েছে ৫.৯১ শতাংশ, শিক্ষাখাতে ৫.২৬ শতাংশ বলে জানাচ্ছে পরিসংখ্যান দপ্তর। 

Comments :0

Login to leave a comment