SC CBI SANDESHKHALI

আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, তবু শাহজাহানকে সিবিআই’র হাতে দিল না রাজ্য

জাতীয় রাজ্য

সন্দেশখালি কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে দৌড়েছিল রাজ্য। জরুরি শুনানির আবেদনও জানিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট জরুরি শুনানির সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। কিন্তু এই মামলাকে হাতিয়ার করেই শেখ শাহজাহানকে সিবিআই’র হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ আটকে রাখল রাজ্য। 
মঙ্গলবার কলকাতা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। শাহজাহানকে সিবিআই’র হাতে তুলে দেওয়ারও নির্দেশ দেয়। মামলার নথিপত্র সমেত শাহজাহানকে সিবিআই’র হাতে তুলে দিতে বলে বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে। কিন্তু সিবিআই’র আধিকারিকরা শাহজাহানকে হেপাজতে নিতে গেলেও শূন্য হাতে ফিরে এসেছেন। 

এর আগে বহু মামলাতেই দেখা গিয়েছে অভিযুক্তদের সিবিআি তদন্ত থেকে বাঁচাতে রাজ্য সরকার মামলা লড়ছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিনও সেই ছবিই ফিরে এসেছে। সিবিআই তদন্ত আটকাতে রাজ্যের পক্ষে আবেদন দায়ের করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। এদিনই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য জমা করে পালটা আবেদন। জরুরি শুনানির আবেদন জানায়। কিন্তু বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ রাজ্যকে জানিয়ে দেয় যে আগে শীর্ষ আদালতের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে নথিভুক্ত করতে হবে। 
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে সন্দেশখালিতে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশির জন্য গিয়েছিলেন তাঁরা। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও।
গত ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্টের এক বিচারপতির বেঞ্চ সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশকে নিয়ে বিশেষ তদন্ত দল বা ‘সিট’ গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে আলাদা আলাদ কারণে হাইকোর্টেরই বৃহত্তর বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ জানায় ইডি এবং রাজ্য। ইডি’র আবেদন ছিল তদন্তের ভার কেবল সিবিআই’কে দেওয়া হোক। রাজ্যের আবেদন ছিল কেবল পুলিশ তদন্ত করুক। 
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি শাহজাহানকে কেন্দ্রের গোয়েন্দাদের হাতে দিতে বলে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য।  এরই মাঝে শাহজাহানকে হেপাজতে নিতে গিয়ে ফিরে আসে সিবিআই।
শেখ শাহজাহানের গ্রেপ্তারি নিয়েও সংশয় ছড়িয়েছিল তৃণমূল। দলের সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির দাবি ছিল হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না। সন্দেশখালিতে শাহজাহান এবং তৃণমূলের অন্য নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বারবার রাস্তায় নেমেছে জনতা। সামনে থেকেছেন মহিলারা। ইন্টারনেট বন্ধ করে, ১৪৪ ধারাও জারি করে রাজ্য। হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় শাহজাহানের গ্রেপ্তারিতে কোনও স্থগিতাদেশ নেই। কেবল পুলিশ নয়, ইডি’ও ধরতে পারে। এরপর শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ঘোষণা করে পুলিশ। সিপিআই(এম) যদিও বারবারই বলেছে যে পুলিশের আশ্রয়েই রয়েছে শাহজাহান।  
জমির লুট থেকে মহিলাদের নির্যাতন একগুচ্ছ অভিযোগ তৃণমূলের এই বাহিনীর বিরুদ্ধে। তোলপাড় রয়েছে সারা রাজ্যে, দেশেও।

Comments :0

Login to leave a comment