আমেরিকার অনুমতির পরই রাশিয়ার ব্রায়ান্স অঞ্চলে ৬টি শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল ইউক্রেন। কিছু পরেই দেশের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার নীতি বদলালেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘাত পরিস্থিতি বৃদ্ধির জন্য বরাবরের মতো মঙ্গলবারও আমেরিকার নেতৃত্বে চলা যুদ্ধজোট ‘ন্যাটো’-কে দায়ী করেছে রাশিয়া। পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারে রাশিয়ার নতুন নীতিতে বিশ্বময় ছড়িয়েছে আলোচনা।
পারমানবিক অস্ত্র নেই কিন্তু পেছনে পরমাণু শক্তিধর দেশের মদত রয়েছে,এমন দেশ হামলা চালালেও পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা খোলা রেখেছেন পুতিন। পরমাণু অস্ত্র নয়, এমন সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহারে রাশিয়ান ফেডারেশন এবং বেলারুশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা ক্ষুণ্ণ হলেও পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে রাশিয়া।
রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের নীতি সংক্রান্ত ঘোষণা দেওবা হয়েছে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে। নতুন ঘোষণার পর রাশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, নতুন নীতিতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হলো। ‘ন্যাটো’ এবং আমেরিকাকে নিজেদের আগ্রাসী নীতি বিবেচনায় বাধ্য করবে। মেদভেদেভ এখন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন তাঁর নতুন নীতিতে রাশিয়ার গভীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনুমতি দেন জোটসঙ্গী ইউক্রেনকে। মঙ্গলবার রাশিয়ার অভিযোগ, ব্রায়ান্স অঞ্চলে পরপর ৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইউক্রেন। প্রতিটিই আমেরিকার তৈরি।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র পড়লেও বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি সামরিক ঘাঁটিতে।
ইউক্রেন পারমাণবিক শক্তিধর না হলেও আমেরিকার সেই শক্তি রয়েছে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। তার জোরেই ন্যাটো (নর্থ অ্যাটলান্টিক ট্রিটি অরগানাইজেশন) চোখ রাঙাচ্ছে। ইউক্রেনকে আঞ্চলিক আধিপত্য তৈরিতে সরাসরি মদত দিচ্ছে ন্যাটো। সক্রিয় সহায়তা করছে আমেরিকা।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম বলছে, পুতিনের নতুন নীতি ন্যাটো এবং আমেরিকাকে নতুন করে ভাবাবে।
PUTIN NUCLEAR POLICY
ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ল ইউক্রেন, পরমাণু নীতিতে বদল পুতিনের
×
Comments :0