SRIMANTI HEMBRAM

বঞ্চনা সত্ত্বেও অক্লান্ত ‘রেডিও জকি’ শ্রীমন্তী হেমব্রম

জেলা

পুরুলিয়ার পুঞ্চায় কমিউনিটি রেডিও সেন্টারে সম্প্রচারে ব্যস্ত শ্রীমন্তী হেমব্রম।

ভাস্কর দাশগুপ্ত

পুরুলিয়ার পুঞ্চা ব্লকের শ্রীমন্তী হেমব্রম। স্থানীয় কমিউনিটি রেডিও’তে অনুষ্ঠান পরিচালনার কাজ করে চলেছেন। আদিবাসী এই মহিলা ‘রেডিও জকি’। তাঁর গলায় গান বা কথা শোনার জন্য উদগীব হয়ে থাকেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। 

প্রত্যন্ত এই এলাকার একটি কমিউনিটি রেডিও সেন্টারের জকি হিসেবে গত পনেরো বছর ধরে তিনি কাজ করে চলেছেন। কোনও সরকারি স্বীকৃতি তাঁর মেলেনি। শিল্পীর পরিচয় পত্র কিংবা শিল্পী ভাতা কিছুই পাননি। তবু নিজের সমাজের মানুষজনকে সচেতন করতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রেডিও জকির কাজ করে চলেছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তার এই প্রয়াসকে কুর্নিশ। 

পুঞ্চা ব্লকের নামো দুলেপাড়ার বাসিন্দা শ্রীমন্তী হেমব্রম। এক মেয়ে এবং স্বামীকে নিয়ে তাঁর সংসার। ছোটবেলা থেকেই শ্রীমন্তী সাঁওতালি নাচ, গান, নাটকে পারদর্শী। ঘরভর্তি পুরস্কার ঠাসা। স্বামীও সুলেখক। তাঁদের মেয়েও সাঁওতালি ভাষার নাটকে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। 

শ্রীমন্তী হেমব্রম আদিবাসী সমাজের কাছে অতি পরিচিত মুখ। শ্রীমন্তী বলছেন,  তিনি ভারতের একমাত্র আদিবাসী মহিলা যিনি রেডিও জকি। পুরুলিয়ার পুঞ্চার লৌলারা রামানন্দ সেন্টেনারি কলেজের এক প্রান্তে এই কমিউনিটি রেডিও সেন্টার। কখনও শ্রোতাদের দাবি মেনে গান শোনাচ্ছেন, কখনও শ্রোতাদের নানা সমস্যার উত্তর দিচ্ছেন হাসিমুখে। বাংলাও সমান ভাবে বলতে পারেন। 

আদিবাসী জনতাকে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সম্পর্কে সচেতন করতে তাঁর এই প্রয়াস। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে বেশ কয়েকবার শিল্পী ভাতা এবং শিল্পী পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু পাননি। তাতে ক্ষোভ থাকলেও হতাশা নেই।

Comments :0

Login to leave a comment