SUBHASHINI ALI STUDENT MUZAFFARNAGAR

‘ক্লাসের সবাই মিলে মারো’, সেই শিশুর বাড়িতে সুভাষিণী আলি

জাতীয়

মুজফ্‌ফরনগরের খুব্বরপুর গ্রামে ওই শিশুর পরিবারের সঙ্গে সুভাষিণী আলি। ছবি টুইটার থেকে।

ক্লাসের সবাই থাপ্পড় মারবে ওকে। সবাই মিলে মারো, স্কুল শিক্ষিকা নিজেই বলেছিলেন ক্লাসঘরে। কথাও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন সেই ছাত্রের ওপর রাগের কারণ আসলে তার ধর্মপরিচয়। বলেছিলেন, মুসলিমদের শিক্ষা দেওয়া দরকার।  
মুজফ্‌ফরপুরের সেই শিশুর বাড়ি গেলেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য সুভাষিণী আলি। বুধবার সোশাল মিডিয়ায় এই তথ্য জানিয়েছে সিপিআই(এম)। 
শিশুর বাবাকে সিপিআই(এম) নেত্রী কথা দিয়েছেন যে এরপর কোনও সমস্যা হলেও পাশে থাকবে পার্টি। ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলছে মামলা। তিরস্কারের মুখে পড়তে হয়েছে উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারকে। সুভাষিণী আলির মতো কয়েকজনই ন্যায় চাইতে শীর্ষ আদালতের নজর কেড়েছিলেন। 
আগস্টে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও সারা দেশকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। কোনও শিক্ষিকা তাঁর ছাত্রের ধর্ম তুলে সতীর্থদেরই বলছিলেন চড় মারতে। ভিডিও সামনে আসায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল পুলিশে। মুজফ্‌ফরপুরের মনসুরপুর থানা এলাকায় খুব্বরপুর গ্রামে বাড়ি শিশুটির। পড়ত এলাকারই নেহা প্রাইভেট স্কুলে। এই স্কুলেরই শিক্ষিকা তৃপ্তি ত্যাগির ছাত্রদের বলছিলেন, মুসলিমদের শিক্ষা দেওয়া দরকার।
প্রশাসন আড়ালের চেষ্টা চালিয়েছিল। পুলিশের শীর্ষ স্তর থেকে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছিল যে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে শিক্ষিকার খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। এমনকি শিক্ষিকাও বলেছিলেন যে তিনি বিশেষভাবে সক্ষম। উঠে চড় মারতে পারবেন না। তাই ছাত্রদের বলেছিলেন!
গত নভেম্বরে ওই শিশুকে অন্য স্কুলে ভর্তি করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা রয়েছে তাতে। সেপ্টেম্বরে শুনানিতে শীর্ষ আদালত বিশদ তদন্ত রিপোর্ট তলব করে উত্তর প্রদেশের প্রশাসনের থেকে। শিক্ষার অধিকার আইন রাজ্যে সঠিকভাবে প্রয়োগ হচ্ছে কিনা, তোলে সে প্রশ্নও। 
সিপিআই(এম)’র পোস্টে জানানো হয়েছে যে বাবা এবং মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন সুভাষিণী আলি। সহায়তার জন্য তৈরি পার্টি, জানিয়ে এসেছেন তিনি।

Comments :0

Login to leave a comment