Rape in Dewandighi

ধর্ষিতাকে বাড়ি বিক্রি করে চলে যাওয়ার পরামর্শ পুলিশের

রাজ্য

Rape in Dewandighi

[ad}
নিরাপত্তা দিতে না পেরে নির্যাতিতা মহিলাকেই বাড়ি বিক্রি করে চলে যেতে বললো পুলিশ। তৃণমূলও সেই ফতোয়া আগেই দিয়েছে নির্যাতিতা পরিবারকে। শনিবার দেওয়ানদিঘী থানা এলাকার ধর্ষিতা মহিলার স্বামী বাড়িতে ঢুকতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল নেত্রী কাকলী তা’র অনুমতি ছাড়া নাকি তিনি বাড়িতে ঢুকতে পারবেন না। এদিন নির্যাতিতা মহিলা বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেছেন এক মাস আগে এক তৃণমূলের মাতব্বর তাঁকে ধর্ষণ করে। তিনি সেদিনই বর্ধমান মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিন্তু অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। উলটে কেস তুলে নেবার জন্য ওই মহিলা ও তাঁর ছেলেকে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী নগ্ন করে মারধর করে। ক্ষতবিক্ষত দেহ নিয়ে তিনি ও তাঁর ছেলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসক মহিলার রক্তাক্ত চেহারা দেখে বয়ান নিয়ে ইনজুরি রিপোর্ট তৈরি করেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েও শাসকদলের চাপে ইনজুরি রিপোর্ট দেওয়া হয়নি আক্রান্ত পরিবারকে। পুলিশের মদতে ধর্ষকও জামিন পেয়ে যায়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও গোটা পরিবার বাড়ি ঢুকতে পারছেন না। হাসপাতালেই রাত কাটাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অভিযোগ আক্রান্ত পরিবারের বাড়ি ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। পুলিশ শাসকদলের চাপে বলছে আপনি বাড়ি বিক্রি করে চলে যান, আপনাকে ওরা বাঁচতে দেবে না। পুলিশের এই ভূমিকাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেওয়ানদিঘীর মানুষ। 
[ad}

মাস খানিক আগে দেওয়ানদিঘী এলাকার এই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়। এই ধর্ষণের পেছনে কারন খুঁজতে গিয়ে জানাগেছে, এই মহিলা এলাকায় প্রতিবাদী বলে পরিচিত। অভিযোগ, তিনি দেওয়ানদিঘী থানা এলাকায় তৃণমূল নেত্রী কাকলী তা’র অত্যাচারের কাছে নতি স্বীকার না করে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন। জমি নিয়ে বিবাদ শুরু হয় শাসকদলের সাথে ওই নির্যাতিতা মহিলার। তাঁকে তৃণমূলের দলীয় অফিসে ডেকে অশ্লীল ভাষাতে অপমানিত করা হয়। তারপর থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোন মতেই শাসকদল ও কাকলী তা’র কাছে তিনি মাথা নত করবেন না। বারে বারে তাঁকে তৃণমূলের অফিসে ডেকে পাঠানো হয়, হুমকিও চলে। কিন্তু মাথা নত করেননি ওই মহিলা। তারপরই এক রাতে স্বামী ও ছেলের অনুপস্থিতিতে তাঁর উপর নির্যাতন নামিয়ে আনা হয়। তিনি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁকে ফের মারধর করে কেস তুলে নিতে চাপ দিতে থাকে শাসকদল। তিনি রক্তাক্ত হন। কিন্তু কেস তোলেননি। এই আক্রান্ত পরিবার অভিযোগ করেছেন  এখানে আইনের শাসন নেই। ধর্ষণ, খুন, তোলাবাজিতে গোটা দেওয়ানদিঘী থানার সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন।  
[ad}
 

Comments :0

Login to leave a comment