Titanic Submarine missing

মর্মান্তিক মৃত্যু পাঁচ ‘টাইটানিক’ পর্যটকের

আন্তর্জাতিক

একেই বোধয় বলে পোয়েটিক আয়রনি। ১১১ বছরের পুরনো ভয়াবহ টাইটানিক জাহাজের স্মৃতির পুনরাবৃত্তি। শত চেষ্টা সত্বেও অক্ষত অবস্থায় খোঁজ মিলল না সাবমেরিন ‘টাইটানের’। রোমাঞ্চের নেশা কেড়ে নিলো পাঁচটি তরতাজা প্রাণ। আটলান্টিকের অতহ গহ্বরে বিস্ফোরণে টুকরো টুকরো হয়ে গেল সাবমেরিন টাইটান। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের ১৬০০ ফুট দূরেই পাওয়া গিয়েছে টাইটান সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ, ইতিহাসের পরিহাস বোধয় একেই বলে। ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে খুদে সাবমেরিন। অনুমান করা হচ্ছে, অত্যধিক দ্রুতগতির এই যানটি জলের চাপ সহ্য করতে পারেনি। আর তাই সাবমেরিনের ভিতর বিকট বিস্ফোরণে টুকরো হয়ে যায়। 


গত রবিবার কানাডার নিউ সাউথহ্যাম্পটনের সেন্ট জন্স থেকে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পর্যটক নিয়ে আটলান্টিকে ডুব দেয় ওশেনগেটের ডুবোজাহাজ 'টাইটান'। কিন্তু যাত্রা শুরুর পৌনে দু'ঘণ্টার মধ্যেই দিক নির্দেশকারী জাহাজ বা মাদার শিপ 'পোলার প্রিন্স'-র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় 'টাইটানের'।
৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেনের রসদ নিয়ে আটলান্টিকের নীচে নেমেছিল টাইটান। নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই মার্কিন এবং কানাডার উপকূলরক্ষী বাহিনী তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালায়। বুধবার প্রথম সমুদ্রের নীচের থেকে ভেসে আসা শব্দ তরঙ্গ চিহ্নিত করে কানাডার P-3 বিমান। এর পর C-130 হারকিউলিস উড়ানও একই ধরনের শব্দকে চিহ্নিত করে। এরপর নামানো হয় দু'টি রোবট ডুবুরি। তারাই অবশেষে বৃহস্পতিবার এই খুদে সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করে।

Comments :0

Login to leave a comment