BASTAR FILM STUDENTS

বস্তার নিয়ে সিনেমার কড়া প্রতিবাদ ১৬ ছাত্র সংগঠনের

জাতীয়

একেবারে হিন্দুত্ববাদী বিদ্বেষ থেকে আক্রমণ বামপন্থীদের। মুখ্য চরিত্র কেবল বিজেপি-আরএসএস’র ভাষায় আক্রমণই করছে না, সোজা গুলি করে হত্যার হুমকিও দিচ্ছে ছবির পর্দায়। আক্রমণের কেন্দ্রে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ও। 
এমনই দেখানো হয়েছে ‘বস্তার: দ্যা নকশাল স্টোরি’-র টিজারে। হিন্দুত্ববাদীদের মদতে সিনেমায় এমন প্রচারের তীব্র বিরোধিতা করল দেশের ১৬টি ছাত্র সংগঠন। এসএফআই-সহ ছাত্র সংগঠনগুলি যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘উগ্র দক্ষিণপন্থার পছন্দের বুলি ‘আরবান নকশাল’ শব্দবন্ধের পিছনে থাকা রাজনীতিই এই ছবিতে প্রচার করা হয়েছে।’’ বলা হয়েছে, ‘‘কেবল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বস্তুত বিস্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদেরই আক্রমণের লক্ষ্য করা হয়েছে।’’ 
ছাত্র সংগঠনগুলির হুঁশিয়ারি, ‘‘আইনের শাসনকে ছুঁড়ে ফেলে নিজেদের ফয়দা তোলার প্রয়াস কড়া প্রতিরোধের মুখে পড়বে। দেশের গণতান্ত্রিক এবং প্রগতিশীল শক্তি প্রতিরোধে নামবে। ছাত্ররা যৌথভাবে প্রতিবাদে নামবে।’’ 
১৬টি ছাত্র সংগঠনের মঞ্চ ইউনাইটেড স্টুডেন্টস অব ইন্ডিয়া (ইউএসআই) ছাত্রছাত্রীদের আহ্বান জানিয়েছে এমন বিষাক্ত প্রচার রুখে দিতে। ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ রক্ষার লড়াইয়ে শামিল হতে। 
যে পরিচালক, পরিবেশকরা ‘কেরালা স্টোরি’ নামে সিনেমা করেছিলেন তাঁরাই এবার বস্তার নিয়ে এই ছবির নির্মাতা। কেরালা স্টোরিতে রাজ্যটিকে দেখানো হয়েছিল ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া হিসেবে। সেখানে দেওয়া একাধিক তথ্য কড়া চ্যালেঞ্জর মুখে পড়ে। 
ছত্তিশগড়ের বস্তারে মাওবাদী হিংসার ঘটনা দীর্ঘদিনের। তাকে কাজে লাগিয়ে বামপন্থী গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে আক্রমণের নিশানা করা হয়েছে এই সিনেমায়। এক আইপিএস আধিকারিককে মুখ্য চরিত্রে রাখা হয়েছে। তাকে দিয়ে বলানো হয়েছে যে ‘বাম উদারবাদী মেকি বুদ্ধিজীবিদের গুলি করে মারব’। 
১৬ সংগঠনের মঞ্চ ইউনাইটেড স্টুডেন্টস অব ইন্ডিয়া বলেছে, ‘‘এর আগে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত কৃষকদের খালিস্তানি বলা হয়েছিল। সমাজকর্মীদের দেশদ্রোহী বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিনা বিচারে তাঁদের কারাগারে বন্দি করা হচ্ছে। এমন প্রচার আশ্চর্যের নয় কারণ কেন্দ্রের এক মন্ত্রী যাকে বিশ্বাসঘাতক মনে হবে তাকে গুলি করে মারার ভাষণ দিয়েছিলেন প্রকাশ্যে।’’ 
বলা হয়েছে, ‘‘বামপন্থীরা স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছিলেন, দেশকে রক্ষার জন্য অগুনতি বামপন্থী শহীদ হয়েছেন। উলটোদিকে আরএসএস এবং তাদের সাঙ্গোপাঙ্গরা বরাবর দেশের শান্তি, সুরক্ষা এবং সার্বভৌমত্বের পক্ষে বিপজ্জনক শক্তিগুলির পক্ষ নিয়েছে।’’

Comments :0

Login to leave a comment