UNEMPLOYMENT

চার মাসে সর্বোচ্চ বেকারি এপ্রিলে, শহরে ৯.৮১%

জাতীয়

এপ্রিলে আরও বাড়ল কর্মহীনতার হার। মার্চে কর্মহীনতার হার ছিল ৭.৮ শতাংশ। এপ্রিলে তা বেড়ে হয়েছে ৮.১১ শতাংশ। শহরে কর্মহীনতার হার ৮.৫১ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯.৮১ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে খানিক হ্রাসের ছবি উঠে এসেছে সমীক্ষায়। গ্রামাঞ্চলে কর্মহীনতার হার ৭.৪৭ শতাংশ থেকে হয়েছে ৭.৩৪ শতাংশ। 

দেখা যাচ্ছে কর্মরতের সংখ্যা মহামারী পরিস্থিতির আগের তুলনায় বাড়েনি। ২০২০’র জানুয়ারিতে কাজ করছেন এমন ভারতীয়ের সংখ্যা ছিল ৪১.১ কোটি। ২০২৩’র মার্চে খানিকটা কমে হয়েছে ৪০.৯ কোটি। 

সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির প্রতিক্রিয়া, ‘‘কমবয়সীর অনুপাত ভারতে বেশি। তারুণ্যের ফয়দা বেশি পাওয়ার অনেক সুযোগ ছিল ভারতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের নীতিতে এই সুযোগ ধ্বংস হয়েছে।’’ 

এপ্রিলের সমীক্ষার এই তথ্য পেশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি (সিএমআইই)। সমীক্ষার তথ্য জানিয়েছে বেকারির হার এপ্রিলে চার মাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।

কর্নাটকে টানা ভোট প্রচারে নেমে মোদী এবং বিজেপি যদিও ঠিক উলটো দাবি করে যাচ্ছে। প্রচারে প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর দলের নেতাদের দাবি, ‘নতুন ভারত’ গড়ার কাজ চলছে। কমবয়সী অংশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে দেশজুড়ে। ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার কর্নাটকে বহাল রাখা জরুরি।’’ 

তথ্য যদিও প্রমাণ করছে কতটা ফাঁপা এই প্রচার। শহরে কর্মহীনতার হার প্রায় ১০ শতাংশ ছুঁয়ে ফেলায় সঙ্কটের গভীরতা টের পাওয়া যাচ্ছে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রের রাস্তা বা সেতু উন্নয়নে বিপুল ব্যায়ের দাবি জানাচ্ছে বিজেপি সরকার সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান এবং প্রকল্প রূপায়ন মন্ত্রকেরই তথ্য জানিয়েছে প্রায় ৫৬ শতাংশ প্রকল্পের কাজ চলছে সময়সীমার তুলনায় দেরিতে। ভোটের আগে বিজেপি’র প্রতিশ্রুতি ছিল বছরে ২ কোটি নতুন কর্মসংস্থান হবে।

Comments :0

Login to leave a comment