বিহারের সীমাঞ্চলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গ, নেপাল ও বিহার সীমান্তে অবস্থিত বিহারের জেলাগুলি সীমাঞ্চল নামে পরিচিত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং বলেছেন, ‘‘সীমাঞ্চলে প্রবেশ করলে মনে হয় বাংলাদেশে এসে পড়েছি।’’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে সিপিআই(এম)। পার্টি বলেছে, এমন মন্তব্যের জন্য গিরিরাজ সিংয়ের ক্ষমা চাওয়া উচিত। বিজেপি সংবিধান মানে না। দেশের বৈচিত্র্যকে মানতে নারাজ।
সীমাঞ্চলে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের আধিক্য রয়েছে। বাংলাভাষীও রয়েছেন।
মঙ্গলবার একটি জনসভায় কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন ও পঞ্চায়েতী রাজ মন্ত্রী বলেন যে বিহারে ব্যাপক হারে বাড়ছে ধর্মান্তরকরণ। ইসলাম এবং খ্রিষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে হিন্দুদের। দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই একই বক্তৃতা চালাচ্ছে বিজেপি। বক্তব্যের সমর্থনে তথ্য যদিও নেই। বস্তুত জনগণনার ফল অনুযায়ী মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এক দশকে কমেছে।
বিহারে এখন সরকারে নেই বিজেপি। এতদিনের শরিক নেতা নীতীশ কুমার এখন আরজেডি’কে নিয়ে সরকার চালাচ্ছেন। গিরিরাজ সিং বলেন, ‘‘বিহারে মুসলিম ভোটব্যঙ্ককে মাথায় রেখে রাজনৈতিক খেলা হচ্ছে।’’
কিসানগঞ্জ, আরারিয়া, কাটিহার ও পূর্ণিয়া বিধানসভা কেন্দ্রগুলি পড়ে সীমাঞ্চলের মধ্যে। কিসানগঞ্জে প্রায় ৪০ শতাংশ, আরারিয়াতে ৪৫ শতাংশ, কাটিহারে ৪০ শতাংশ ও পূর্ণিয়াতে ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘুর বাস। পশ্চিমবাংলার সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় এখানকার মানুষ বাংলাতেও কথা বলেন। বাংলাভাষী সংখ্যালঘুরাই কার্যত বিজেপি’র নিশানায়।
Comments :0