এগারো মাসের শিশুর, মাথা থেকে পায়ে, ত্রিশ জায়গায় সুচ ঢোকানো হলো। তারপর রেফারও করা হলেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ নেয়নি ভর্তি। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হলো এগারো মাসের শিশুর। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে সরব পরিবার।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহষ্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের ধনতলা গ্রামে। এগারো মাসের শিশু মৈত্রী রায়কে অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা নিয়ে আসেন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। শিশু বিভাগে নিয়ে আসা হয় ওই শিশুকে। জ্বর, বমি, সঙ্গে পেটের গন্ডগোলের উপসর্গ ছিল ওই শিশুর।
কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং নার্স চিকিৎসা শুরু করেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সম্ভবত স্যালাইন দেওয়ার জন্য শিশুর মাথা থেকে পা পর্যন্ত প্রায় তিরিশ জায়গায় সুচ ঢুকিয়েও ভেন পাওয়া যায়নি। এরপর শিশুটিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। সেই রাতেই অসুস্থ শিশুকে নিয়ে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মৈত্রী রায়কে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরিবারের অভিযোগ, মৈত্রী রায়কে ভর্তি নেয়নি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ। বাধ্য হয়ে একপ্রকার নিস্তেজ হয়ে পড়া শিশুটিকে নিয়ে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে আনার পথে মারা যায় এগারো মাসের মৈত্রী রায়।
শুক্রবার রাতে মৃতদেহ নিয়ে জলপাইগুড়িতে ফিরে মৃত মৈত্রী রায়ের মামা প্রীতম বর্মন ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘‘শুধুমাত্র চিকিৎসার গাফিলতির কারণে আজ এগারো মাসের একটি শিশুকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হলো। আমরা এই ঘটনার তদন্ত দাবি করছি। অবশ্যই অভিযোগ দায়ের করব।’’
Jalpaiguri Child
ভর্তি নিল না উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, মৃত্যু শিশুর
×
Comments :0