Madhyamik

প্রশ্নপত্র সোশাল মিডিয়ায়, উঠল অভিযোগ এবারও

রাজ্য

কোচবিহার কোতোয়ালি থানার সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে না পারা পরীক্ষার্থীরা।

প্রথম দিনেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠল মাধ্যমিকে। মাধ্যমিকের প্রথম ভাষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে এক দশকের পরম্পরা ফিরে এল। পরীক্ষার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রশ্নপত্র সোশাল মিডিয়ায় ঘুরতে শুরু করে। যদিও বিষয়টি নজরে আসতেই তৎপর হয়ে ওঠে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কে বা কারা তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। 
২০১১ সালের পর থেকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁস, গণটোকাটুকি স্বাভাবিক প্রবণতায় চলে এসেছে। সেই ধারা বজায় রেখে শুক্রবার ১০ টায় পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে প্রথম ভাষার প্রশ্নপত্র সোশাল মিডিয়ায় ঘুরতে শুরু করে।
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এদিন ছিল প্রথম ভাষার পরীক্ষা। সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিট থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছক্ষুণের মধ্যেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। অন্যদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত গাফিলতিতে অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে পারল না কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের চান্দামারি প্রাণনাথ হাইস্কুলের ৭জন পরীক্ষার্থী। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে এদিন কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে আসেন এই পরীক্ষার্থীরা।
শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করেন জানানো হয়, এদিন পরীক্ষা শুরু হয়েছে সকাল ১০ টা থেকে। পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েছে সকাল পৌনে দশটায়। এবছর ২ হাজার ৬৭৫টি কেন্দ্রে মাধ্যমিক দিয়েছে ৯ লক্ষ ২৩ হাজার ১৩ জন। অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে ৩৩৪ জন পরীক্ষার্থীকে। ৪০৯ জন পরীক্ষা দিয়েছে রাইটার দিয়ে। একজন পরীক্ষা দিয়েছেন ল্যাপটপে। বিশেষ ভাবে সক্ষমদের মধ্যে ১৬৭ জন রাইটার দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। আহত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪। সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন একজন। ৭ জন পরীক্ষা দিয়েছে হাসপাতাল। লিলুয়া হোম থেকে পরীক্ষা দিয়েছে একজন। পরীক্ষা চলাকালীন ১২ জনের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। 
পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে স্মার্ট ওয়াচ, মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে কিছু পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে। তাদের প্রথম দিনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। 
প্রথম দিনের পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষনের মধ্যেই প্রশ্নপত্র সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে যে কোড ব্যবহার করা হয়েছিল, সেখানে দেখা যায় মালদহের দুই পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্রের ছবি তুলেছিল। তারপরেই তড়িঘড়ি পর্ষদ তদন্ত নামে। জানা যায় মালদহ জেলার রায়গ্রাম হাই স্কুল ও বেদরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের দু’জন ছাত্র প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে সামাজমাধ্যমে পোস্ট করে দেয়। দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাদের অ্যাডমিট কার্ড ও রেজিস্ট্রেশন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা তারা দিতে পারবে না।

Comments :0

Login to leave a comment