বসন্তের আগমন ঘটলেই পুরুলিয়া জেলা জুড়ে দেখা যায় লাল পলাশ। আর সেই লাল পলাশের টানে ভিন জেলা এবং ভিন রাজ্য থেকে প্রচুর পর্যটক ভিড় জমান পুরুলিয়ায়। এই লাল পলাশের মাঝে অতি বিরলতম এবং মূল্যবান শ্বেত পলাশের দেখা মেলা বিরল ব্যাপার। এমনই এক শ্বেত পলাশের দেখা মিলল পুরুলিয়ার কেন্দা থানা এলাকার এক জঙ্গলে। হাতে গোনা কয়েকজনের নজরে রয়েছে সেই শ্বেত পলাশের ঠিকানা। শ্বেতপলাশ একেবারেই আজকাল দেখতে পাওয়া যায় না। পুরুলিয়ার কেন্দার এক জঙ্গলে চলতি বসন্তের মরশুমে এই গাছ নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। এই শ্বেতপলাশ গাছের সৌন্দর্য দেখতে ওই গ্রামে পর্যটকদের ভিড়ও বাড়ছে। সামাজিক মাধ্যমেও এই গাছের ফুলের ছবি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। গাছ মালিকের দাবি লক্ষাধিক টাকার বেশি দর উঠেছে ওই শ্বেত পলাশ বৃক্ষের। অথচ রাতের অন্ধকারে সেই শ্বেত পলাশ গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া চেষ্টা হল। রাতের অন্ধকারে চোরা কারবারিদের নজর পড়েছে সেই শ্বেত পলাশ বৃক্ষের উপর। গাছের গোড়া কেটে শ্বেত পলাশ বৃক্ষকে কাটার চেষ্টা চালিয়েছেন চোরা কারবারিরা বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের তৎপরতায় সেই গাছ কোনক্রমে রক্ষা পেয়েছে সেই গাছ। তাই গাছ মালিক এবং প্রতিবেশিরা চাইছেন বিরলতম শ্বেত পলাশকে রক্ষা করুক পুলিশ প্রশাসন। অতি বিরলতম এই শ্বেত পলাশ বৃক্ষকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করাটাই এখন মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকাবাসীদের। স্থানীয় মানুষ সরনা মাহাতো বলেছেন গত তিন চার বছর ধরে এই গাছের পলাশ দেখতে মানুষজন ভিড় করছেন। কিন্তু সেই পলাশ গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে। এলাকার মানুষ হিসেবে তিনি চাইছেন যেভাবে হোক এই পলাশ গাছকে রক্ষা করতেই হবে। গাছের মালিক শিবু মাহাতো বলছেন সচরাচর সাদা পলাশ একেবারেই দেখতে পাওয়া যায় না ।গাছটি সত্যি একেবারে বিরল। কিন্তু যেভাবে গাছটি কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে তাতে তিনিও আশঙ্কায় রয়েছেন কতদিন এভাবে গাছটিকে আগলে রাখতে পারবেন। তিনিও চাইছেন প্রশাসন থেকে উদ্যোগ নিয়ে বিরল প্রজাতির এই শ্বেত পলাশ গাছটিকে রক্ষা করা হোক।
Comments :0