দুধ উৎপাদনে সমবায় আন্দোলন নিয়েই তৈরি হয়েছিল সেই চলচ্চিত্র। বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে লড়ে ছোট ছোট দুধ উৎপাদকদের সমবায় গড়ে তোলার আন্দোলনকে ধরা হয়েছিল সেলুলয়েডে। সত্তরের দশকে সেই ‘মন্থন’ এবার বিশেষ সম্মান পাচ্ছে ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে। এই সিনেমার টাকাও জুগিয়েছিলেন ডেয়ারি কৃষকরাই, সংখ্যায় প্রায় ৫ লক্ষ।
বরেণ্য পরিচালক শ্যাম বেনেগালের এই সিনেমা বহুচর্চিত। কিন্তু তার অনুপ্রেরণা ছিল সত্যিকারের চরিত্র ভারগিস কুরিয়েন, যাঁকে বলা হয় ‘মিল্কম্যান অব ইন্ডিয়া’। ভারতে এখন বিশ্বের প্রায় পঁচিশ শতাংশ দুধ উৎপাদন হয়। কিন্তু নানা ধাপ পেরিয়ে এই পর্যায়ে আসতে হয়েছে। দুগ্ধ সমবায় গড়ার আন্দোলনকেই গুজরাটের একটি এলাকার বাস্তবতায় রূপ দিয়েছিলেন বেনেগাল।
‘মন্থন’-র অভিনেতাদের মধ্যে ছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহও। তিনি এই ছবির বিশেষ প্রদর্শনে অংশ নিতে গিয়েছেন কানে। সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছে শাহকে। ১৯৭৬’র ১৩৪ মিনিটের এই সিনেমার জন্য কুরিয়েনেরই সহায়তা চেয়েছিলেন বেনেগাল। তার আগে বেশ কয়েকটি তথ্যচিত্র এই দুধের উৎপাদন এবং নতুন উদ্যোগ নিয়েই করেছিলেন শ্যাম বেনেগাল। কিন্তু কুরিয়েনের কাছে সিনেমা বানানোর জন্য অর্থ ছিল না। তখনই ছোট ছোট আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিনেমা তৈরির চিন্তা মাথায় আসে।
সমবায় উদ্যোগে ক্ষুদ্র কৃষকরা দুধ বিক্রি করতৃন ডেয়ারিতে। বিভিন্ন সংগ্রহ কেন্দ্র থেকে দুধ এনে ডেয়ারিতে তা থেকে তৈরি হচ্ছিল মাখনের মতো দুগ্ধজাত পণ্য। ঠিক হয় প্রত্যেক কৃষকের থেকেই দু’টাকা করে চাঁদা নেওয়া হবে। তার জন্য কৃষকদের রাজি করাতে হবে।
বেনেগাল পরে জানিয়েছিলেন যে কৃষকরা এই প্রস্তাবে প্রচুর উৎসাহ দেন। টাকা দিতে তো রাজি হয়েছিলেনই। সেই অর্থেই তৈরি ‘মন্থন’।
MANTHAN CANNES
কৃষকদের অর্থে তৈরি ‘মন্থন’ কান চলচ্চিত্র উৎসবে
×
Comments :0