দিল্লির বুকে মহাপঞ্চায়েতে মিলিত হবেন কৃষকরা। বৃহস্পতিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে সংযুক্ত কিষান মোর্চার ডাকে এই পঞ্চায়েত হবে।
পঞ্চায়েতকে সফল করার জন্য ইতিমধ্যেই জোরালো প্রচার চালাচ্ছে সারাভারত কৃষকসভা। কর্পোরেট তোষনকারী, সাম্প্রদায়িক, স্বৈরাচারী মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নিবিড় প্রচার চালানোর ডাক দিয়েছে কৃষকসভা। 
এরই মাঝে মঙ্গলবার পাঞ্জাবের নড়রু গ্রামে কৃষকসভার এক সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেই সভা থেকেও মহাপঞ্চায়েতকে সফল করার আবেদন জানান সেলিম। 
সমাবেশের প্রসঙ্গে কৃষকসভার যুগ্ম সম্পাদক বাদল সরোজ বলেন, ‘‘২ বছর আগে সরকার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। গণতন্ত্রের পক্ষে এটা লজ্জার, যে সরকারকে সেই কথা মনে করিয়ে দিতে রাজধানীর বুকে মহাপঞ্চায়েত করতে হচ্ছে কৃষকদের।’’
সরোজ বলেন, ‘‘কৃষকদের প্রধান দাবি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি’র আইনি বৈধতা। এর পাশাপাশি কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা না করেই পাশ হওয়া বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহার করতে হবে সরকারকে।’’
কৃষক নেতৃত্ব মনে করাচ্ছেন বিজেপি সাংসদ অজয় মিশ্র কৃষক বিরোধী প্ররোচনা সৃষ্টি করেন। তারফলে তার  ছেলে আশিষ মিশ্র উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে ৪ কৃষক এবং ১ জন সাংবাদিককে খুন করে। কিন্তু তারপরেও বিজেপি তাকে ফের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেছে। এরথেকে বড় লজ্জার বিষয় হতে পারে না। এই সমস্ত বিষয়গুলিকে মহাপঞ্চায়েতে তুলে ধরা হবে। 
কৃষকসভা নেতৃত্বের অভিযোগ, মহাপঞ্চায়েতকে বানচাল করতে চেষ্টার কোনও খামতি রাখেনি কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমে রামলীলা ময়দানে সভা করার অনুমতি দিতে টালবাহানা করে সরকার। তারপর অনুমতি দিলেও বুধবার মাঠে জল ঠালার অপচেষ্টা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই চক্রান্ত রুখে দিয়েছেন কৃষকরা। 
এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর সহ একাধিক জেলার কৃষক নেতাদের বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে তাঁরা দিল্লির সভায় যোগ দিতে না পারেন। উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও একাধিক রাজ্য থেকে এই ধরণের খবর মিলেছে। 
বাদল সরোজ বলেছেন, ‘‘৩৭৮ দিনের ঐতিহাসিক আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের শক্তি দেখিয়েছেন দেশের অন্নদাতারা। সেই শক্তির প্রতিফলন বৃহস্পতিবারও দেখাবেন কৃষকরা। তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করে কোনও লাভ হবে না। কাল সভা থেকে সংকল্প পত্রের ঘোষণা হবে। এপ্রিল এবং মে মাসে সংকল্প পত্রের প্রভাব গোটা দেশ দেখবে।’’
                                        
                                    
                                
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
                                    
Comments :0