Beaten to Death

বচসা থেকে হাতাহাতি, বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ

জেলা

চুঁচুড়া হাসপাতালের সামনে অবরোধ ও বিক্ষোভ মৃতের পরিজন ও মোগলটুলির বাসিন্দারদের।

সামান্য বিষয় নিয়ে বচসা। সেখান থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। এক জন আরেকজনকে বাঁশ দিয়ে আঘাত মাথায়। ঘটনায় গুরুতর জখম হন একজন। ছিলেন চিকিৎসাধীন। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় শনিবার হাসপাতালে মৃত্যু হয় চিকিৎসাধীন আহতের। মৃত্যুর খবর ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায় চুঁচুড়া মোগলটুলি হাসপাতালের সামনে। হয় অবরোধ বিক্ষোভ। উত্তেজনা সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চুঁচুড়া থানার পুলিশ ও  কেন্দ্রীয় বাহিনী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবরের বিবরণে জানা গেছে, গত সোমবার ১৮ মার্চ বিকালে মোগলটুলিতে সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় পরে যান অমল খান(৪৪) নামে এক ব্যক্তি। ছিলেন মদ্যপ অবস্থায়। পরে গিয়েই গালিগালাগ শুরু করে দেন। গালিগালাজ দেওয়া নিয়ে মাজিদ আনসারী নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায়। সেখান থেকে মারামারি হয়। জানা গেছে দুজনেই পরস্পরের আত্মীয়। অভিযোগ বাঁশ দিয়ে অমলের মাথায় আঘাত করেন মাজিদ। রক্তাক্ত অবস্থায় বেশ কিছুক্ষন রাস্তার ধারে পরে থাকে। পর তাঁকে উদ্ধার করে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আইসিইউতে চিকিৎসা চলছিল। অভিযোগ এই ঘটনার পর গত শুক্রবার অভিযুক্ত মাজিদ আনসারীর বাড়িতে ভাঙচুর চলে। শনিবার সকালে অমল খানের মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি আজ নয় অনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে।  
অভিযুক্ত এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক। পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি কেন এই অভিযোগ তুলে ইমামবাড়া হাসপাতালের সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে মৃতের পরিজন ও মোগলটুলির বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে আসে চুঁচুড়া থানার আই সি রামেশ্বর ওঝা। তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ সরিয়ে দেন।

মৃতের স্ত্রী মৌসুমী বিবি বলেন, ‘‘ঘটনার দিন আমাকে ফোন করে ডাকা হয়। হাসপাতালে গিয়ে দেখি মাথায় দশটা সেলাই পরেছে স্বামীর জ্ঞান নেই। কি হল ওকে বাঁচাতে পারলাম না। নেশ করত বলে আমার সঙ্গে অশান্তি হত। আমি বলেছিলাম শুধরে যাও। গত পাঁচ মাস আমি স্বামীর ঘরে ছিলাম না মা বোনের বাড়ি থাকতাম। আমাকে বলত বাড়িতে চলে আসো’’।
অমল খানের ভাই সেখ সৌকত বলেন,‘‘আমার দাদাকে পিটিয়ে মেরেছে মাজিদ আনসারী। অভিযুক্তকে পুলিশ এখনো ধরতে পারেনি। আমরা বলতে গেলে পুলিশ বাহিনী দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের পর থেকেই অভিযুক্তের খোঁজ চালানো হচ্ছে। গতকাল রাতেও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাসী চলে। তবে অভিযুক্ত মাজিদ ফেরার থাকায় তার নাগাল পাওয়া যায়নি।

Comments :0

Login to leave a comment