SIR Draft Roll

জীবিত ভোটারকে মৃত! হুগলির চন্ডীতলায়

জেলা

ফর্ম সংগ্রহ না হওয়ার কারণ ভোটার মৃত! ৩১ বছরের লাবনী ঘোষকে এসআইআর খসড়া তালিকায় মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এসআইআর করেছেন যে বিএলও তিনিও অবাক। কারণ লাবনীর নাম তিনি মৃত হিসাবে জমা দেননি কমিশনে। হুগলির চন্ডীতলার ১২১ নম্বর বুথের ভোটার পায়রা গাছা খানাবাটি গ্রামের বাসিন্দা লাবনী ঘোষ। গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। ২০০২ সালে তাঁর ১৮ বছর না হওয়ায় নাম ছিলো না শেষ এসআইআর তালিকায়। বাবার নাম দিয়ে এবারের এসআইআর ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন। কিন্তু খসড়া তালিকা বের হতেই অবাক কান্ড। দেখলেন তিনি মৃত! লাবনী বলেন, এত বড় ভুল কি করে হতে পারে।
বিএলও রীতা পোড়েল বলেন,আমি যে ফর্ম জমা দিয়েছি সেখানে মৃতদের তালিকায় ওনার নাম ছিল না। শিফটেড তালিকাতেও নাম ছিলো না। ফর্ম ফিলাপ করে জমা দিওয়া হয়েছে। ভুল হতে পারে। উনি আবার ফর্ম ফিলাপ করলে নতুন করে নাম উঠে যাবে। লাাবনী ঘোষের পাশাপাশি উত্তরপাড়াতেও জীবিত ভোটার খসড়ায় হয়ে গেলেন মৃত! উত্তরপাড়া বিধানসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ২৬২ নম্বর বুথের বাসিন্দা শ্যামল খাটুয়া হতবাক এই ঘটনায়। তিনি জানান, ‘‘বিএলওর দিয়ে যাওয়া এনুমারেশন ফর্ম নির্দিষ্ট নথি দিয়ে জমা করেছিলেন। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর তিনি জানতে পারেন তাঁর নাম মৃত ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। ফলে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন তিনি। 
ওই নির্দিষ্ট বুথে বিএলএ ২ ছিলেন তাঁর নিজের ভাই শিব শংকর খাটুয়া। তিনি জানান, শেষ বিএলও এবং বিএলএদের মিটিং এ মোট ৩০ জন ভোটারের নাম মৃত ভোটার হিসেবে চিহ্নিত করে তালিকা করা হয়েছিল। সেই তালিকায় সই আছে ওই নির্দিষ্ট বুথের বিএলওর, কিন্তু খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর তিনি দেখেন ৩১ জন ভোটারকে মৃত বলে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে তার দাদা শ্যামল খাটুয়ার নামও নথিভুক্ত করা হয়েছে । আমরা ছয় নম্বর ফর্ম ফিলাপ করে আবার আবেদন জানাবো নির্বাচন কমিশনের কাছে না হলে এর বিরুদ্ধে যতদূর যাওয়ার ততদূর যাব। প্রয়োজনে আদালতে মামলা হবে। সব মিলিয়ে খসড়া ভোটার তালিকায় যে বিস্তর অসঙ্গতির অভিযোগ বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে আসছে। তার মধ্যে নবতম সংযোজন উত্তরপাড়া বিধানসভার ২৬২ নম্বর বুথে জীবিত ভোটার শ্যামল খাটুয়া কে মৃত দেখিয়ে তালিকাভুক্ত করার ঘটনা।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়াল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকেই হিয়ারিংয়ের জন্য অটো জেনারেটেড চিঠি পাঠানো হবে, প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে হিয়ারিং শুরু হবে এসআইআর-এর জন্য।  তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে দ্রুত স্ক্যানিংয়ের কাজ চলছে। শীঘ্রই জানা যাবে মোট কতজনকে হিয়ারিংয়ের জন্য ডাকা হতে চলেছে। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, যে সকল মানুষকে মৃত বলে খসড়া ভোটার তালিকায় দেখানো হয়েছে অথচ বাস্তবে জীবিত রয়েছেন, মূলত সেই সব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বুথ লেভেল অফিসার এবং এইআরও- দের শোকজ করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে উত্তর লিখিতভাবে জানাতে হবে। কমিশন উত্তরে সন্তুষ্ট না হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Comments :0

Login to leave a comment