তাড়িয়ে এনে ছোট্ট রাফাহ সীমান্তে জড়ো করে রাখা হয়েছিল প্রায় ২৩ লক্ষ মানুষকে। এবার মিশর সীমান্তের কাছে গাজার রাফাতেই বোমা ফেলছে ইজরায়েল। প্যালেস্তাইনের মানুষের আর যাওয়ার জায়গা নেই।
গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ জানাচ্ছে যে গত ২৪ ঘন্টায় প্যালেস্তাইনের ১১৭ জন নাগরিক মারা গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি মুখ্যত গাজার দক্ষিণের এই এলাকায়। ৭ অক্টোবরের পর থেকে উত্তরের অংশে বোমার পর বোমা ফেলেছে ইজরায়েল। আন্তর্জাতিক আদালত জবাবদিহি তলব করেছে। গণহত্যার দায় চেপে রয়েছে ইজরায়েলের মাথায়। কিন্তু মার্কিন মদত থাকায় একেবারেই বেপরোয়া বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রশাসন।
শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন এই পর্যায়ে রাফায় বোমাবর্ষণ না করে উপায় নেই। আর প্যালেস্তাইনের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, শিশু-বৃদ্ধ-নারীরা দমবন্ধ করে বসে রয়েছেন কখন বোমা পড়ে সেই অপেক্ষায়।
হিন্দ রজাব নামে ৬ বছরের এক শিশুকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাদের গোটার পরিবার একটি গাড়িতে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে গিয়ে ইজরায়েলের বোমার মুখে পড়ে। শনিবার মিলেছে ৬ বছরের ওই শিশুর দেহ। স্বাস্থ্যকর্মীরাই উদ্ধার করছেন এমন বহু দেহ। রজাবকে উদ্ধার করতে গিয়ে যদিও দুই স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন।
প্যালেস্তাইনের রেড ক্রেসেন্ট সোসাইটি জানাচ্ছে যে বোমা পড়া পর ওই শিশু ফোনে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছিল। ১২ দিন পর মিলেছে তার দেহ। উদ্ধারের জন্য পাঠানো অ্যাম্বুল্যান্সও ইজরায়েলের হানায় চুরমার হয়ে গিয়েছে
ISRAEL BOMBING RAFAH
ইজরায়েলের বোমায় রাফায় উদ্বাস্তুর ভিড়ে, নিহত ১১৭
×
Comments :0