GAZA BOMBING MATERNITY HOSPITAL

প্রসূতি চিকিৎসা কেন্দ্রে বোমা ইজরায়েলের, নিহত ১১

আন্তর্জাতিক

প্রসূতি পরিচর্যা হাসপাতালেও বাছাই করে আঘাত করছে ইজরায়েলের সেনা। শনিবার গাজার দক্ষিণে মিশের সীমান্তের কাছে রাফায় এই হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে ঘটনাস্থলেই। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে অনুমান। 
ইজরায়েলের প্রধান মদতদাতা আমেরিকার জো বাইডেন প্রশাসনকে এখন ঘরে বাইরে নিন্দার মুখে পড়তে হচ্ছে। জনমত মাথায় রএখে গাজায় এই প্রথম আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন প্রশাসনের এই ভূমিকা যদিও তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে কয়েক দফায় গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ভেটো প্রয়োগ করে আটকেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই। 
মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে গাজায়। স্মরণকালে এমন ভয়াবহ আক্রমণের চেহারা দেখেনি বিশ্ব। বর্বরতার যে কোনও খতিয়ানে হার মানিয়ে অবলীলায় হাসপাতালে ঢুকে বা বিমান হামলায় বোমা ফেলছে ইজরায়েল। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একের পর এক ত্রাণ শিবির। গোটা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে ত্রাণের সারিতে দাঁড়ানো ক্ষুদার্ত প্যালেস্তিনীয়দের ওপর গুলি চালিয়েছে ইজরায়েল। শনিবার গণহত্যার আরেক পর্বের সাক্ষী থাকল বিশ্ব।
আমেরিকার সংবাদ প্রতিষ্ঠান সিএনএন-কেও মাতৃসদনে হামলার খবর দিতে হচ্ছে। প্রসূতিদের পরিচর্যার এই হাসপাতালে বোমা ফেলা হয়েছে আকাশ থেকে। হাসপাতালের পাশে তাঁবুতে ছিলেন উদ্বাস্তুরা। তখনই নিহত হন ১১ প্যালেস্তিনীয়। গাজার উত্তর অংশ থেকে নাগরিকদের তাড়িয়ে দক্ষিণে জড়ো করেছে ইজরায়েলের বাহিনী। উদ্বাস্তু, বিপন্ন সেই মানুষ গাদাগাদি করে রয়েছেন দক্ষিণের এলাকায়। এবার সেখানেই চলছে বোমাবর্ষণ। 
বিশ্ব জুড়ে গাজার ত্রাণের সারিতে হামলার প্রতিবাদ জোরালো হয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা ১১২ ছাড়িয়ে। আহত আরও বহু। তাঁদের অনেকের আঘাত গুরুতর। 
বিশ্বজুড়ে ত্রাণ কর্মীরা আমেরিকার ত্রাণ সহায়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁরা বলেছেন, এসবের ছবি ভালো হয়। গাজায় ৬ লক্ষ মানুষ একেবারে দুর্ভিক্ষের মুখে। টানা খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা হওয়া জরুরি। ইজরায়েল সেই ব্যবস্থা আটকে রেখেছে।

Comments :0

Login to leave a comment