CAA

নির্বাচনের আগে চালু হবে সিএএ দাবি করলেন অমিত শাহ

জাতীয়

রাম মন্দির দিয়ে ছিঁড়ে ভেজেনি। তাই এবার ফের নির্বাচনের আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে হাতিয়ার করছে বিজেপি।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় সিএএ নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। তারপর সরকার গঠন হওয়ার পর বিজেপি নেতা মন্ত্রীদের মুখে এই কথা আর শোনা যায়নি। পাঁচ বছর চুপ থাকার পর সিএএ নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন শাহ দিল্লিতে একটি শিল্প সম্মেলনে বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে সিএএ দেশে লাঘু করা হবে, এই বিষয় কোন সন্দেহ নেই।’’

সিএএ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অমিত শাহ কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস উদবাস্তুদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিল যে তাদের তারা নাগরিকত্ব দেবে কিন্তু দেয়নি। আর এখন এই আইনের বিরোধীতা করছে কংগ্রেস।’’ শাহ এদিন দাবি করেছেন এই আইন কোন ভারতীয়ের নাগরিকত্বের অধিকার কেড়ে নেবে না।

কিন্তু সংসদে যেই আইন পাশ করা হয়েছে তাতে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে যেই সব হিন্দু, খ্রিষ্টান, শিখ, জৈন, বৈদ্ব এবং পার্সি সমপ্রদায়ের মানুষজন ভারতে এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। একটি জায়গায়েও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের কথার কোন উল্লেখ নেই। ২০১৯ সালে এই আইন পাশ হওয়ার পর উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। আইন বাতিলের দাবিতে পথে নামেন সাধারণ মানুষ।

বস্তুত পক্ষে এই আইনে নাগরিকত্ব প্রদানের নির্দিষ্ট কোনও কথা বলা নেই। কেবলমাত্র তিনটি দেশের ছয়টি সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার সুযোগটুকু দেওয়া হয়েছে।  এই আবেদন করার জন্য এমন সব শর্ত দেওয়া হয়েছে যা পূরণ করা সাধারণভাবে প্রায় অসম্ভব। আবেদনকারীকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি আফগানিস্তান পাকিস্তান অথবা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। এবং ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে এদেশের বাসিন্দা হয়েছেন। বিদেশ থেকে এই নথি সংগ্রহ করা কারোর পক্ষে কি সম্ভব? উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, হিন্দু, মুসলমান, খ্রিনস্টা নির্বিশেষে কাউকে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী তকমা দেবার কোনও আইন আগে ছিল না। বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন এই সরকার ২০০৩ সালে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ২(১)(বি) ধারা সৃষ্টি করে। এর মধ্য দিয়ে প্রায় সমস্ত বাস্তুহারা মানুষ কার্যত বেআইনি অনুপ্রবেশকারী বলে ঘোষিত হয়ে যায়।

আরও একটি লোকসভা নির্বাচনের সামনে দেশ। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে চাপে রয়েছে মোদী সরকার। সেই সব দিক থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে ফের নতুন করে সিএএ, এনআরসির মতো বিষয় গুলোকে তুলে আনছেন তারা। 

Comments :0

Login to leave a comment