POLI BUREAU BILKIS BANO

অপরাধীদের সহযোগী কেন্দ্রের সরকারও, বিলকিস রায়ে পলিট ব্যুরো

জাতীয়

কেবল গুজরাট সরকার নয়, রায় অনুযায়ী অপরাধীদের সহযোগী হয়ে কাজ করেছে কেন্দ্রের সরকারও। গুজরাটের বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে এ কথা বলেছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো।
সোমবার বিলকিস বানোকে ধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সাত সদস্যকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গুজরাট সরকারের এই আদেশকে এক্তিয়ার বহির্ভূত ঘোষণা করেছে আদালত। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এই অপরাধীদের সাজার মেয়াদের আগে মুক্তির আবেদন বিবেচনা করার রায় অতীতে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের অপর বেঞ্চ। ২০২২’র মে-তে দেওয়া সেই রায়কেও এদিন খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্টেরই ডিভিশন বেঞ্চ। 
আদালত রায়ে বলেছে যে অপরাধীরা ছাড়াতে রাজ্য সরকার আবেদনের সপক্ষে তথ্য বলে যা পেশ করেছে তা জালিয়াতি। রাজ্য সরকার অপরাধীদের সহযোগীর মতো আচরণ করেছে। আবার গুজরাটের বিজেপি সরকারই আদালতে জানিয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অপরাধীদের মুক্তির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। 
আদালতের সওয়ালের নিরিখেই সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো বলেছে যে কেবল রাজ্য সরকারই নয়, অপরাধীদের সহযোগীর ভূমিকা নিয়েছে কেন্দ্রও। এদিন পলিট ব্যুরোর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী সরকার গঠিত হয়। সরকার যখন এক্তিয়ার এবং আইনগত বিবেচনা অগ্রাহ্য করে তখন গণতন্ত্রের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়। 
এদিন বিচারপতি বিভি নাগরত্ন ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চ রায় ঘোষণা করে দোষীদের দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বেঞ্চ আরও বলেছে, ১১ জন দোষীর সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিলকিস বানোর দায়ের করা পিটিশন বৈধ। 
২০০২ সালে গুজরাট গণহত্যার পরিপ্রেক্ষিতেই বিলকিস বানোকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। হত্যা করা হয়েছিল তাঁর পরিবারের সদস্যদের। সে সময়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর গণহত্যা চালানো হয় গোধরায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ব্যবহার করে। বারবারই সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতের অভিযোগ উঠেছে। 
বিলকিস ধর্ষণে অপরাধীদের মেয়াদের আগে মুক্তির পর গুজরাটে ফুল-মালা দিয়ে বরণ করা হয়। গুজরাটে নির্বাচনের আগে অপরাধীদের বরণে উদ্যোগী হতে দেখা যায় বিজেপি’র বিভিন্ন স্তরের নেতাদের। 
আদালত এদিন বলেছে, অপরাধীদের অন্যতম রাধেশ্যাম শাহ মূল আবেদন দায়ের করেছিলেন। কিন্তু আগের পর্বে রায়ের সময় বিবেচনায় রাখা হয়নি যে তাঁর আবেদন গুজরাট হাইকোর্ট খারিজ করেছিল। মেয়াদের আগে মুক্তির আবেদনে আপত্তি ছিল মহারাষ্ট্র সরকারের। সিবিআই’র আবেদনেই নিরপেক্ষ বিচারের জন্য গুজরাট থেকে সরিয়ে মামলা নিয়ে যাওয়া হয় মহারাষ্ট্রে।

Comments :0

Login to leave a comment