রবিবার সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের সঙ্গে এরাজ্যেও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের প্রবক্তা মহান দার্শনিক কার্ল মার্কসের ২০৭তম জন্মদিবস উদ্যাপনে সিপিআই(এম) টেক্সমেকো দেশপ্রিয় নগর এরিয়া কমিটির উদ্যোগে গণ অর্থ সংগ্রহ কর্মসূচি করা হয়। নো ইলেক্টোরাল বন্ড অনলি ইমোশনাল বন্ড এই স্লোগানে এদিন সকালে বেলঘড়িয়া দেশপ্রিয়নগরে দেশপ্রিয় নগর বাজার মোড়ে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। এই অর্থ সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু হবার আগে কালমার্কসের ২০৭তম জন্মদিন তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে এদিনের কর্মসূচি শুরু হয়। দমদম লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস সমর্থিত সিপিআই(এম) প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর হাতে এদিন স্কুলের কলেজের ছাত্র এবং ছাত্রীরা তাদের টিফিনের পয়সা জমানো ঘট তুলে দেন। এলাকার গৃহবধূরা এসে তাদের সঞ্চিত অর্থ তুলে দেন নির্বাচনের কাজে ব্যবহৃত করার জন্য। সাধারণ মানুষও সুজন চক্রবর্তীর হাতে তাদের সাধ্যমতো টাকা তুলে দেন নির্বাচন পরিচালনা করবার জন্য।
সুজন চক্রবর্তী সহ সিপিআই(এম)’র কর্মীরা দেশপ্রিয় নগর বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছে বক্স নিয়ে গেলে ব্যবসায়ীরা তাদের সাধ্য মতন অর্থ তুলে দেন। দেশপ্রিয় নগর বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘সিপিআই(এম) মানুষের টাকায় চলে। আমরা যে অর্থদান দান করি সেটা আমাদের খুব কষ্টের টাকা। তবুও সিপিআই(এম) যে পন্থায় টাকা তোলে, সবসময় তা সমর্থন যোগ্য’’।
সুজন চক্রবর্তী বলেন,‘‘মানুষ মতাদর্শকে ভালোবেসে চাঁদা দেন। সেই টাকায় পার্টি চলে। সিপিআই(এম) কোন শিল্পপতি বা কর্পোরেট হাউসের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে না। আমরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে আমাদের সংগঠন এবং নির্বাচন পরিচালনার কাজ করে থাকি’’। সুজন চক্রবর্তী ছাড়াও এদিনের এই অর্থ সংগ্রহ ছিলেন সিপিআই(এম) উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলী সদস্য ঝন্টু মজুমদার, সিপিআই(এম) উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য প্রদীপ মজুমদার, কামারটি পৌরসভার প্রাক্তন পৌর প্রধান তমাল দে এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতা সুবীর ভট্টাচার্য সহ ছাত্র যুব মহিলা এবং শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা। এদিনের এই গণ অর্থ সংগ্রহে প্রায় ১ লক্ষ ৭ হাজার টাকার কাছে সংগ্রহ করা হয় সাধারণ মানুষের কাছে। এই টাকা এই নির্বাচনে কাজে ব্যবহৃত হবে বলে জানিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী।
Comments :0