গ্রামের ছাগল চরতে গিয়েছিল জঙ্গলে। সারাদিনের পর সন্ধ্যেবেলা ছাগলের দল ফিরে এসেছিল মালিকের ঘরে। মালিক সমস্ত ছাগলকেই বেঁধে রেখেছিলেন গোয়াল ঘরে। সকাল হতে চমকে ওঠেন ছাগলের মালিক পুরুলিয়ার ঝালদা ব্লকের বকদ গ্রামের বাসিন্দা নারায়ন ভগত। তিনি দেখেন জঙ্গল থেকে ছাগলের দলের সঙ্গে একটি হরিণ চলে এসেছিল। সেই হরিণটি সারারাত বাঁধা ছিল ছাগলদের সঙ্গে। সকালে দেখতেই দ্রুত তিনি খবর দেন বনদপ্তরকে। বনদপ্তরের কর্মীরা এসে বার্কিং ডিয়ার বা কাঁকর হরিণটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় ঝালদা বনাঞ্চল কার্যালয়ে। কার্যালয়ে বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখার পর গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় সেই হরিণটিকে। গ্রামবাসীদের এই সচেতনতার পরিচয় দেখে সাধুবাদ জানিয়েছেন বনদপ্তরের কর্মীরা।
বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ তালিকায় বার্কিং ডিয়ার রয়েছে তিন নম্বরে যে হরিণটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল সেটি একটি পূর্ণবয়স্ক মাদি হরিণ। ওজন প্রায় ৩০ কেজি। বনদপ্তরের অনুমান ওই হরিণটি ছিল গর্ভবতী। বকদ গ্রামের অদূরেই রয়েছে সে সেঁওয়াতি পাহাড়ের জঙ্গল। সেখানেই বকদ গ্রামের গৃহপালিত জন্তুদের চরাতে নিয়ে যায় গ্রামের মানুষ। রবিবার সেই ভাবেই ওই গ্রামের বাসিন্দা নারায়ণ ভগতের ছাগলের দল গিয়েছিল জঙ্গলে চরতে। ফিরে আসার পর কেউ লক্ষ্য করেনি ছাগলের দলের সঙ্গে রয়েছে একটি হরিণ। সকালে ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্থানীয় মানুষজনের সচেতনতার পরিচয়ে লোকালয়ে চলে আসা সেই হরিণ অবশেষে ফিরে গেল জঙ্গলে।
অন্যদিকে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়লো হরিণ। শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়ির ঘটনা। হরিণটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা বনদপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছে। সোমবার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একটি হরিণ নকশালবাড়ির হাতিঘিষার হুচাইমল্লিক জোত এলাকায় চলে আসে। কলাবাড়ি জঙ্গল থেকেই হরিণটি এসেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। হরিণটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বনদপ্তরের খবর দেয়। খবর পেয়ে বাগডোগরা বনদপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হরিণটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বাগডোগরা বনদপ্তরের রেঞ্জার সোনম ভূটিয়া জানিয়েছেন, হরিণটি সুস্থ রয়েছে। শরীরের কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে ভয় পেয়ে রয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।
Deer Purulia
গবাদি পশুর সঙ্গে বনের হরিণ চলে এল ঘরে
![](https://ganashakti-new-website.s3.ap-south-1.amazonaws.com/24020/67a9f5ae8fb0b_deer-enter-local-villag.jpg)
×
Comments :0