Gyanvapi Mosque Court Order

জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে পুজোর অনুমতি বারাণসী আদালতের

জাতীয়

জ্ঞানবাপী মসজিদের পুজোর অনুমতি দিল বারাণসী জেলা আদালত। বুধবার বিচারপতি বিষ্ণু শঙ্কর জৈন প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুজোর ব্যবস্থা করার জন্য।

হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের সমর্থনে তিন মহিলা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পুজোর অনুমতি চেয়ে বারাণসী জেলা আদালতের দ্বারস্থ হয়। এদিন জেলা আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয় যে মসজিদ চত্বরে পুজো করা যাবে।

বিতর্কের কারণে মসজিদের ওই এলাকা বন্ধ রাখা ছিল আদালতের নির্দেশে। এদিন সব ব্যারিকেড সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। তবে নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

হিন্দুত্ববাদীদের দাবি মসজিদের মন্দির ভেঙে ওখানে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন দেওয়ালে নাকি হিন্দু দেব দেবীর মূর্তিও আছে। 

অযোধ্যায় রামমন্দিরের রায়ের পর আদৌ দেশে মন্দির-মসজিদ বিবাদের ‘চূড়ান্ত সমাধান’ হয়নি। ১৯৯১’র উপাসনাস্থল আইন অনুযায়ী স্বাধীনতার সময়ে কোনও ধর্মীয় স্থানের চরিত্র যা ছিল তা আর বদলানো যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট ভেঙে দেওয়া বাবরি মসজিদের জমিতে রামমন্দিরের অনুমতি দিলেও অন্য কোথাও চরিত্র বদল না করার কথা বলেছিল। কিন্তু বারাণসী বা কাশীতে এবং মথুরায় উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক প্রকল্প আরও সক্রিয় হয়েছে। 

সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি মঙ্গলবারই এই প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন যে হিন্দুত্ববাদী ভোট ধরে রাখার জন্য এই প্রয়াস আরও বাড়বে। আদালতের অনুমোদনেই এই প্রক্রিয়া চলছে। বিভিন্ন রাজ্যে কোনও না কোনও মসজিদ ভেঙে মন্দিরের বাতর্ক খুঁচিয়ে তোলা হচ্ছে। ধর্মীয় ভাবাবেগ ব্যবহার করে ভোটের এই প্রকল্প বিজেপি এবং আরএসএস বহুদিন চালিয়ে আসছে।  

অন্যদিকে এএসআই রিপোর্ট দেখিয়ে জ্ঞানবাপী মসজিদ ঘিরে নতুন উত্তেজনা তৈরি করতে সক্রিয় হলো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অলোক কুমার সম্প্রতি দাবি করেছেন মসজিদের অজুখানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের জন্য খুলে দেওয়ার। 
হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, এএসআই রিপোর্টে মন্দিরের ওপরে জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণের ইঙ্গিত রয়েছে। গোটা বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। জ্ঞানবাপী মসজিদের পুজো করার অনুমতি চেয়ে আদালতে যায় হিন্দুত্ববাদীরা। মসজিদের পুজো করার অনুমতি চেয়ে আদালতে মামলাও হয়। সেই মামলায় এলাহাবাদ হাই কোর্ট নির্দেশ দেয় মসজিদের প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষার। দীর্ঘ টাল বাহানার পর সেই রিপোর্ট আদালতে জমা পড়েছে। কিন্তু রিপোর্টে এএসআইয়ের পক্ষ থেকে কি উল্লেখ করা হয়েছে তা এখনও সামনে আসেনি।  

গতকাল চার হিন্দুত্ববাদী মহিলা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে অজুখানার কুয়োয় যেই পাথর আছে তার প্রত্নতাত্ত্বিক এবং বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা করার জন্য। তাদের দাবি এই সমীক্ষার মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে ওই পাথরের বয়স। 

Comments :0

Login to leave a comment