পিছিয়ে পড়ে সমতা ফেরানো। তারপর অতিরিক্ত সময় ঘুরে পেনাল্টি শুট-আউট। সেখানেও ম্যাচের মীমাংসা না হওয়ায় সোজা সাডেন ডেথ। সেই সাডেন ডেথ থেকে জয় ছিনিয়ে আনল ভারত। ২০২৩ বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি উঠল সুনীল ছেত্রীর হাতে।
পেনাল্টি শুট-আউটে স্কোর ছিল ৪-৪। সাডেন ডেথে ভারত প্রথম শটটি জালে জড়ায়। কুয়েতের ফিরতি শট আটকে দিয়ে দলকে জয় উপহার দিলেন ভারতীয় গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু।
যদিও প্রথমার্ধের ১৪ মিনিটের মাথায় পিছিয়ে পড়েছিল টিম ইন্ডিয়া । ৩৮ মিনিটের মাথায় লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের গোলে বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সমতায় ফেরে ভারত। ৯০ মিনিটের নির্ধারিত সময় শেষে খেলার ফলাফল ছিল ১-১। তারফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের ৩০ মিনিট শেষেও খেলার ফলাফল সেই গোলশূন্য। তারফলে পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে নির্ধারিত হল ২০২৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়ন।
প্রসঙ্গত, চলতি সাফ কাপের নক-আউট স্তরের প্রতিটি ম্যাচই অতিরিক্ত সময়ে গড়ালো। এবং লেবানন ম্যাচের পরে কুয়েত ম্যাচেও পেনাল্টি শুট-আউটে বিপক্ষের পেনাল্টি আটকে দিয়ে নায়কে পরিণত হলেন গুরপ্রীত সিং।
এদিন ৩৮ মিনিটে কুয়েতের আল-ধেফেরির কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নেন আশিক কুরুনিয়ান। তিনি সুনীল ছেত্রীকে পাস বাড়ান। সুনীল বল বাড়িয়ে দেন সাহাল আবদুল সামাদের উদ্দেশ্যে। সাহাল ডানদিকে মাটি ঘেঁষা পাস বাড়ান। শরীর ছুঁয়ে দিয়ে সেই বলে পা ঠেকিয়ে দলকে সমতায় ফেরান ছাংতে।
এর আগে,১৪ মিনিটের মাথায় বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল ভারত। কাউন্টার অ্যাটক থেকে উঠে এসে গোল করেন কুয়েতের শাবিব আল-খালদি। তীব্র গতির কুয়েতি প্রতি-আক্রমণ সামলাতে ভুল করে ভারতীয় রক্ষণ। সেই সুযোগেই এগিয়ে যায় কুয়েত।
যদিও গোল খাওয়ার ১ মিনিটের মধ্যে সমতা ফেরানোর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল ভারত। লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে চেস্ট ট্রাপ করে বল নামিয়ে দেন সুনীল ছেত্রীর উদ্দেশ্যে। সুনীল ভলি শট নেন। সেই শট সেভ করেন কুয়েতের গোলরক্ষক মারজুক। ফিরতি বলের দিকে দৌড় লাগালেও তার নাগাল পেতে ব্যর্থ হন ছাংতে। ততক্ষণে বল ক্লিয়ার করে দিয়েছেন কুয়েতের ডিফেন্ডার হাজিয়া।
তারপর থেকে ধারাবাহিক ভাবেই গোল শোধের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে ভারত। তীব্র গতিতে কুয়েতের রক্ষণে আছড়ে পড়ে একাধিক প্রতি-আক্রমণ। তেমনই একটি আক্রমণ থেকে সমতায় ফিরলেন সুনীলরা। কুয়েতের থেকে ভারতের বল দখলের হারও বেশি। বেশি সংখ্যক পাসও খেলেছেন সুনীলরা।
৯০ মিনিটের খেলার হিসেবে ভারতের বল দখলের হার ৫১ শতাংশ। দুইদলই প্রায় সমান সংখ্যক পাস খেলেছে। শট নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের থেকে এগিয়ে রয়েছে কুয়েত। যদিও তিন কাঠির মধ্যে শট রাখার ক্ষেত্রে ভারতীয় ফুটবলাররা বেশি দক্ষতা দেখিয়েছেন।
দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক পরিবর্তন আনে ভারতীয় থিঙ্কট্যাঙ্ক। অনিরুদ্ধ থাপা এবং আশিক কুরুনিয়ানের জায়গায় মাঠে নামেন রোহিত কুমার এবং নাওরেম মহেশ সিং।
Comments :0