Hemant Soren

হেমন্তকে জেরা ইডির, কড়া নিরাপত্তা ঝাড়খণ্ডে, ৫ম বার সমন কেজরিওয়ালকে

জাতীয়

বুধবার নির্ধারিত সময় বেলা ১টায় রাঁচিতে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রীর হেমন্ত সোরেনের বাড়ি পৌঁছালেন ইডি আধিকারিকরা। জমি কেলেঙ্কারি মামলায় তারা ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। এর আগে একাধিক বার তার সময় চাওয়া হলেও তিনি তা এড়িয়ে যান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে বুধবার বেলা ১টায় তিনি সময় দিতে পারবেন। সেই মতো তার বাড়ি পৌঁছায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার আধিকারিকরা।
তবে মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা করার আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে রাজ্য জুড়ে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনজন অধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইন শৃঙ্খলার ওপর নজর রাখার জন্য। রাজভবন, রাঁচিতে মুখ্যমন্ত্রী বাসভবন, দেহরাদুনে ইডি দপ্তরের আশপাশে সকাল ৯টা থেকে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। 

বুধবারই দিল্লির ‘আপ’ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জেরার জন্য সমন পাঠিয়েছে ইডি। এই নিয়ে পাঁচবার সমন পাঠানো হলো তাঁকে। দিল্লিতে আবগারী নীতি সংক্রান্ত তদন্তে তাঁকে ফের সমন পাঠিয়েছে কেন্দ্রের ইডি। ‘আপ’ জানিয়েছে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 
গত ২০ জানুয়ারি এই একই বিষয় হেমন্তকে জেরা করার সময় রাজ্যের একাধিক জায়গায় তার দলের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখায়। এদিন যাতে সেই ধরনের কোন পরিস্থিতি না হয় তার জন্য রাজ্য প্রশাসনের কাছে আগাম বার্তা পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সির পক্ষ থেকে। 
রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য রাজ্য জুড়ে প্রায় এক হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। 
ইতিমধ্যে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রীর হেমন্ত সোরেনের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। জমি কেলেঙ্কারি মামলায় একাধিক বার হেমন্ত সোরেনকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থা। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। উল্টে কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার শীর্ষ নেতা। সোমবার দিল্লির ঝাড়খন্ড ভবনে যান ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর রবিবার রাতে তিনি ঝাড়খন্ড ফিরে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে ফিরলেও রাঁচিতে তার বাসভবনে তাকে দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার পক্ষ থেকে সোরেনের গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ইডির পক্ষ থেকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থার দাবি তারা তার বাসভবনে তল্লাসি চালিয়ে একাধিক নথি এবং ৩৬ লক্ষ টাকা পেয়েছে।
বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে হেমন্ত সোরেন পালিয়েছেন। অন্যদিকে তার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ব্যাক্তিগত কাজে বাইরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সঠিক সময় তিনি রাজ্যে ফিরবেন। ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারি সংস্থাকে ব্যবহার করা হচ্ছে সোরেনের বিরুদ্ধে। 
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘হেমন্ত সোরেন হেমন্ত বিশ্বশর্মা বা নীতীশ কুমার নন। তিনি শিবু সোরেনের ছেলে। তিনি কোথাও পালিয়ে যাননি।’’

Comments :0

Login to leave a comment