Hemant Soren

গ্রেপ্তারিতে জড়িত রাজভবন, বিধানসভায় অভিযোগ হেমন্তের

জাতীয়

ঝাড়খন্ড বিধানসভায় আস্থা ভোটের বিতর্কে অংশ নিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সোমবার সকালে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় বিধানসভায় প্রবেশ করেন তিনি। বিতর্কে অংশ নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন হেমন্ত। 

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারতবর্ষে এই প্রথম রাতের অন্ধকারে একজন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হলো। আমি মনে করি রাজভবন এই ঘটনার সাথে সরাসরি যুক্ত।’’ জমি কেলেঙ্কারি কান্ডে ইডি হেপাজতে রয়েছেন হেমন্ত সোরেন। একাধিকবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলে তিনি এড়িয়ে যান। ৩১ জানুয়ারি রাইচিতে তার বাসভবনে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে হেমন্ত দাবি করেন যে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এবিষয় সরাসরি বিজেপিকে নিশানা করেছেন তিনি। হেমন্ত বলেন, ‘‘বিজেপির যদি সাহস থাকে তাহলে দেখাক সেই সব জমির নথি যেখান আমার নাম আছে। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো যদি তারা দোষ প্রমান করতে পারে।’’

রাঁচির বিশেষ আদালতে হেমন্তর পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয় আস্থা ভোটে অংশগ্রহনের অনুমতি চেয়ে। বিশেষ আদালতের পক্ষ থেকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়। হেমন্তর কথায়, চম্পাই সোরেনের সরকারের প্রতি জোটের সব বিধায়কের সমর্থন আছে।

হেমন্ত গ্রেপ্তার হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। বিধায়ক দলের বৈঠক থেকে চম্পাইয়ের নাম উঠে আসে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। বহু টালবাহার পর শপথ নেন চম্পাই সোরেন। শপথ নেওয়ার পরপরই ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে জোটের বিধায়কদের রাজ্যের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অনেকের মনে করছেন কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্রে বিধায়ক ভাঙিয়ে বিজেপি যে ভাবে সরকার গঠন করেছে তা যাতে ঝাড়খন্ডে না হয় তার জন্য এই পদক্ষেপ।    

Comments :0

Login to leave a comment