গাজার আল-আমাল হাসপাতালে আশ্রয় নেওয়া সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের উপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানোর অভিযোগ উঠল ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। প্যালেস্তিনীয়দের দাবি, তাঁদের হাসপাতাল থেকে বিতাড়িত করতেই এই কাজ করেছে ইজরায়েলী বাহিনী।
আল জাজিরা জানাচ্ছে, রবিবার সকাল থেকে গাজার খান ইউনিস শহরে অভিযান শুরু করেছে ইজরায়েলী সেনা। এর পাশাপাশি রাফা এবং দেইর এল-বালাহ শহরেও বিমান হানা চালানো হয়েছে। প্যালেস্তাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানাচ্ছে, খান ইউনিস শহরের আল-আমাল হাসপাতালে ঢুকে এক ব্যক্তিকে মাথায় গুলি করে খুন করেছে ইজরায়েলী সেনা। বেশ কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণ গাজার এই হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল।
প্যালেস্তাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির দাবি, আল-আমাল হাসপাতালের সমস্ত প্রবেশ পথ ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ইজরায়েলী সেনা। তারপর হাসপাতালের ভিতরে আশ্রয় নেওয়া মানুষ সহ প্রত্যেককে উলঙ্গ হয়ে হাসাপাতাল থেকে বেরোনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। হাসপাতালের মধ্যে ৫ চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার গাজার বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে ১৪জন প্যালেস্তিনীয়কে হত্যা করেছে ইজরায়েল। একইসঙ্গে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কেও পাল্লা দিয়ে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইজরায়েলী বাহিনী। নতুন করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৬জন প্যালেস্তিনীয়কে। ৭ অক্টোবর গাজায় ইজরায়েলী আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ৭৭৫৫জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইজরায়েল। ধৃতদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক মহিলা, শিশু এবং বয়স্ক মানুষ রয়েছেন।
৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলী হামলায় এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছেন ৩২,২২৬জন প্যালেস্তিনীয়। আহতের সংখ্যা ৭৪,৫১৮। ইজরায়েলী অবরোধের ফলে উত্তর গাজার ৭০ শতাংশ মানুষ তীব্র খাদ্যসঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছেন। অনাহারে ইতিমধ্যেই শিশু এবং বয়স্করা প্রাণ হারাতে শুরু করেছেন। রাষ্ট্রসংঘের তরফে এই পরিস্থিতিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলা হলেও ইজরায়েলের তরফে সংঘর্ষ থামানো হয়নি।
Comments :0